• মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ অপরাহ্ন

যত দ্রুত নির্বাচন, ততই দেশের মঙ্গল: মির্জা ফখরুল

Sonia khatun / ৩৬ Time View
Update : শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আরবিসি ডেস্ক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যৌক্তিক সময় মানে অনেক বেশি সময় না। যত দ্রুত নির্বাচন করা যাবে, ততই দেশের মঙ্গল হবে। অতিদ্রুত সংস্কার করে নির্বাচনের মধ্যদিয়ে জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে আবারও রাজপথে আন্দোলন করব।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হান্নান শাহ স্মরণসভায় গাজীপুরের কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন হান্নান শাহ’র ছোট ছেলে ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ুন কবির খান, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সাবেক মেয়র মজিবুর রহমান, ডা. মাজহারুল আলম, ওমর ফারুক শাফিন প্রমুখ।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা। এর আগে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হান্নান শাহ’র কবর জিয়ারত করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, কোনো রকম টালবাহানা সহ্য করা হবে না। সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তারেক রহমানকে দেশে ফেরার সুযোগ দিতে হবে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার না হলে কখনও নিরপেক্ষ অবস্থা তৈরি হবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, হাসিনা পালালেও সংকট কাটেনি। মানুষ বিশ্বাস করে, অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখনও বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র করছে। চক্রান্ত করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রকম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে আওয়ামী লীগ। সকলকে সজাগ থাতে হবে। হিন্দু-ভাইয়েরা এ দেশের নাগরিক। নিশ্চয়তা দিচ্ছি, যে কোনো ঘটনা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করা হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারকে পরাজিত করার পর দম ফেলার সুযোগ পেয়েছেন। এই সুযোগ একদিনে তৈরি হয়নি। তারা গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। ক্ষমতা ধরে রাখতে প্রশাসন, বিচার বিভাগ, অর্থনৈতিক সবকিছু কুক্ষিগত করেছে। শেখ হাসিনা সরকার ভেবেছিল, তারা সারাজীবন ক্ষমতায় থাকবে। অত্যাচার-নিপীড়ন করে ক্ষমতা ধরে রেখে সম্পদের পাহাড় গড়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের।

তিনি বলেন, যারা একদিন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছিল, তারাই এখন দুর্নীতির দায়ে কারাগারে যাচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category