নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ বাদী এবং তার দোসরদের শাস্তি ও বহিস্কারের দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) সকাল ১০ টায় উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগনের ব্যানারে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর থেকে দেশ থেকে আওয়ামী লীগের নেতারা বিতাড়িত হতে থাকে। এই আন্দোলন গোদাগাড়ীতেও বেগবান হয়ে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ছাত্র-জনতার পাশাপাশি বিএনপি নেতাকর্মীরা আহত হয়। সরকার পতনের পর এমন পরিস্থিতিতে রাজশাহী জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হামিদ বাবলু গত ২৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ প্রায় ৪৫ জন নামসহ অজ্ঞাত আরো ৫০০-৬০০ জনের নামে মামলা করেন। ওই মামলার বাদী আব্দুল হামিদ বাবু নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য ও ব্যাক্তিগত আক্রোশের জেরে বিএনপির ৬-৭জন নেতাকর্মীর নামে মামলা দিয়েছে। এতে করে গোগ্রাম ইউনিয়ন নেতাকর্মীরা তার মিথ্যা মামলায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত তাকে ও তার পেছনে থাকা বিএনপির শক্তিশালী নেতাদের শাস্তি ও বহিষ্কারের দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন করার হুশিয়ারী দেন নেতারা।
গোগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আনসার আলী ও সাংগঠনিক সম্পাদক বজলুর রশিদ বলেন, আব্দুল হামিদ বাবলু ও তার পেছনে থাকা দোসররা বিএনপির ১৬-১৭ বছরের দু:শাসনের সময় আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে সুবিধা নিয়েছে। এতোদিন তাদের কোন পাত্তা পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আবারও বিএনিপর সুবিধাবাদী হওয়ার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের নামেই মামলা দিয়ে হয়রানি করার অপচেষ্টায় নেমে পড়েছে। আমরা এসব সুবিধাবাদী নেতাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও বহিষ্কার দাবি জানাচ্ছি।
গোগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আনসার আলীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, গোগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি জহুরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম, গোগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বজলুর রশিদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ মিঠু, ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক নাসিম আহমেদ, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও গোগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রভাষক শাহাদত হোসেন সুমন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তাহাদুল, যুবদল নেতা লিটনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।