আরবিসি ডেস্ক: সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী আরাফাতের আটকের খবর পেয়ে মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা গেছে হিরো আলমকে। কিছুক্ষণ আগে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সামনে পথে যাকেই পেয়েছেন, মুখে তুলে মিষ্টি খাইয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে কী কী মামলা দেবেন।
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। এর আগে তার ‘মুখটা দেখার জন্য’ গুলশান থানায় যেতে চান এই আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর। যদিও আরাফাতের আটকের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মোহাম্মদ এ আরাফাতের আটকের খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর যোগাযোগ করা হলে হিরো আলম জানান, তার বিরুদ্ধে আগামীকাল তিনটি মামলা করবেন। জাগো নিউজকে হিরো আলম বলেন, ‘এই আরাফাতের সঙ্গে গত বছর ঢাকা-১৭ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছি। আমার বিজয় সুনিশ্চিত বুঝে নির্বাচনের দিন দুপুরে আমাকে হত্যার উদ্দেশে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছিল তার লোকেরা। এজন্য তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করবো। আমার জেতা আসন ছিনিয়ে নিয়েছে আরাফাত। এজন্য একটা মামলা করবো। তাছাড়া আমাকে পুলিশ এবং ডিবি দিয়ে এর মধ্যে অনেক ভয় দেখিয়েছে, যেন আমি কোনো কথা না বলি। এজন্য করব হয়রানির মামলা। আপাতত এরকম ভেবেছি। আগামীকাল কোর্টে গিয়ে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে দেখি আর কী কী মামলা করা যায়।
প্রসঙ্গত ২০২৩ সালে ঢাকা-১৭ আসনে উপ-নির্বাচনে মোহাম্মদ আলী আরাফাতের প্রতিদ্বন্দী ছিলেন আশরাফুল আলম। প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচনের দিন তাকে বেদম মারধর করে দুর্বৃত্তরা। ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন আরাফাত। পরে তাকে তথ্যপ্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেদিনের হামলাকারীদের মোহাম্মদ আলী আরাফাতের লোক দাবি করে হিরো আলম বলেন, ‘অনেকেই দেখেছেন, নির্বাচনের দিন বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়েছিলাম আমি। আরাফাতের নির্দেশে কিছু লোক সেখানে আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। দায়িত্বরত পুলিশও আমার পাশে দাঁড়ায়নি। কোনো মতে বেঁচে ফিরেছিলাম সেদিন। সেই বিচার আমি আজও পাইনি।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে একতারা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন হিরো আলম। নৌকা প্রতীক নিয়ে আরাফাত পেয়েছিলেন ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট এবং হিরো আলম পেয়েছিলেন ৫ হাজার ৬০৯ ভোট। গুলশান, বনানী, বারিধারা এবং ঢাকা সেনানিবাসের একাংশ নিয়ে এই আসন। এই দুই প্রতীদ্বন্দ্বী ছাড়াও বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে আট প্রার্থী অংশ নিলেও উপ-নির্বাচনে ছিল না বিএনপির কোনো প্রার্থী।
নিজের কর্মকাণ্ড নিয়ে সব সময় সমালোচনার শিকার হন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। সিনেমা, গান কিংবা রাজনীতির মাঠ, সবখানে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করেছেন এই তরুণ। বিভিন্ন সময় ভারতীয় গণমাধ্যম তাকে নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে। এতে তার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গেছে।