• মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২২ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]

ছাত্র হত্যায় শেখ হাসিনা-কাদের-কামালসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

Rozina Sultana Rozy / ১৮ Time View
Update : রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৪

আরবিনস ডেস্ক : ঢাকার সাভারে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) শিক্ষার্থী শাইখ আসহাবুল ইয়ামিনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

রোববার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলামের আদালতে এ মামলা করেন নিহতের মামা আব্দুল্লাহ আল কাবির। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে সাভার থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

সাভারের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের ঘটনায় এ সংক্রান্ত ১১টি মামলা দায়ের হলেও এই প্রথম আদালতে দায়েরকৃত মামলায় সাভারে জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

নিহত শাইখ আসহাবুল ইয়ামিন এমআইএসটির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

বাদীপক্ষে মামলা দায়ের করেন অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান মারুফ ও সাকিল আহমাদ।

এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও ট্রাফিক, উত্তর বিভাগ) আব্দুল্লাহিল কাফী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিদুর রহমান, সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজামান, সাভার থানার উপ-পরিদর্শক সুদীপ, হারুন অর রশিদ ও সাব্বির, বাবুল শরিফ, সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব, আতিকুর রহমান আতিক ও ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম।

মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মামলার আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলন প্রতিহত করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। এতে তিনি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের আন্দোলনকারীদের নির্মূলের নির্দেশ দেন।

আসামি ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্যে বলেছিলেন- আন্দোলনকারী ছাত্রদের নির্মূল করার জন্য ছাত্রলীগই যথেষ্ট। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ জুলাই পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সম্মিলিতভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে। তারা শাইখ আসহাবুল ইয়ামিনকে ধরে টেনে পুলিশের সাঁজোয়া যানের কাছে নিয়ে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে বুকের বাম পাশে গুলি করে। গুলিতে ইয়ামিনের বুকের বাঁপাশে অসংখ্য স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়ে আরিচা মহাসড়কের পাকিজা নামক স্থানে পড়ে থাকে দীর্ঘক্ষণ। পরে স্বজনরা খবর পেয়ে তার লাশ নিয়ে যান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category