• মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৫ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]

চায়ের সঙ্গে যেসব খেলেই বিপদ, যা বলছেন পুষ্টিবিদ

Sonia khatun / ১৩ Time View
Update : শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৪

আরবিসি ডেস্ক: জনপ্রিয় পানীয় হিসেবে চা অনেকের প্রথম পছন্দ। দিনের শুরু থেকে রাত অবধি কয়েক দফা চার পান করেন এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। আর প্রায় সময় চায়ের সঙ্গে বিস্কুট, সিঙ্গাড়া, চপ, পাকোড়া অনেক কিছুই খেয়ে থাকেন চা প্রেমীরা। প্রশ্ন হচ্ছে চায়ের সঙ্গে এসব খাওয়া কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে কথা বলেছেন পুষ্টিবিদরা। তারা চায়ের সঙ্গে কিছু স্ন্যাকস খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথাও জানিয়েছেন।

মিষ্টি খাবার: চায়ের সঙ্গে কেক, বিস্কুটের মতো মিষ্টিজাতীয় খাবার না খেলে অনেকের চলেই না। তবে এটা মোটেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। চায়ের সঙ্গে মিষ্টি খাবার খেলে শরীরে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এমনকি, ডায়াবিটিস হওয়ার ঝুঁকিও আছে। আবার চায়ের সঙ্গে মিষ্টি খেলে বদহজমও হতে পারে বলছেন পুষ্টিবিদরা।

মসলাদার খাবার: চায়ের সঙ্গে কোনোভাবেই অতিরিক্ত মসলাযুক্ত কোনো খাবার খাওয়া যাবে না। কিছু মসলা আছে যেগুলোর আলাদা সুঘ্রাণ আছে সেসব চায়ের সঙ্গে এড়িয়ে যেতে হবে। এই জাতীয় খাবারের উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে রসুন, পেঁয়াজ, গরম সস, তরকারি এবং মরিচ। অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়, আর সেসব চায়ের সঙ্গে খেলে আরও বিপদ। এতে বদ হজম হতে পারে। অন্যদিকে মসলার আলাদা ঘ্রাণ আছে যেটা নাকে আসলে আপনি চায়ের সুঘ্রাণ উপভোগ করতে পারবেন না।

টক জাতীয় খাবার: দুধ চা বা লিকার চায়ের পরিবর্তে অনেকের পছন্দ লেবু চা। চায়ের মধ্যে লেবুর রস মেশানোর ফলে শরীরের পরিপাক ক্রিয়া অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। লেবু চা খাওয়ার পরে মুখের ভেতর অনেকেই টক টক স্বাদ অনুভব করেন। সাধারণত অ্যাসিডিটি হলে এমনটা হয়। আবার দুধ চায়ের সঙ্গে কোনও রকম চাট যেমন পাপড়ি চাট, দইবড়া, ভেলপুরি, ফুচকা খেলেও হতে পারে একই ধরনের সমস্যা। তাই অ্যাসিডিটি এড়াতে চায়ের সঙ্গে টক কিছু খাওয়া যাবে না।

ভাজাভুজি: স্ন্যাকস হিসেবে অনেকেই ভাজাভুজি খাবার পছন্দ করেন। তাই চায়ের সঙ্গে চপ, শিঙাড়া, বা কাটলেট অনেকেই খান। এই অভ্যাস পেটের গোলমাল ও বদহজমেরও কারণ হতে পারে। লিকার চা বা ভেষজ চা হজম করা সহজ, তবে অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

সাধারণত চায়ের সঙ্গে হালকা কিছু খাওয়া যেতে পারে। যেসব খাবারে ফাইবার বা প্রোটিন বেশি থাকে সেগুলো ক্যাফেইন শোষণকে ধীর করে দিতে সাহায্য করে। মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া কিংবা অস্বাস্থ্যকর কোনো খাবার খেয়ে চায়ের প্রশান্তির থেকে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়তে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category