বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনুর বাড়ি ও তার নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলার ঘটনার পাঁচ বছর পর পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ আওয়ামী লীগের ৮২ নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা দুইটি দায়ের করেন মিজানুর রহমান মিনুর বাড়ির কেয়ারটেকার মো. আলাউদ্দিন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিই বিভাগের শিক্ষক ও জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আওরঙ্গজীব মো. আব্দুর রহমান।
চন্দ্রিমা থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, দুইটি মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে আরও ৬০ জনকে। মামলায় হত্যা চেষ্টা, ছিনতাই, বোমার বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় খায়রুজ্জামান লিটনকে হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে
আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেয়ারটেকার মো. আলাউদ্দিন এজাহারে অভিযোগ করেন, পদ্মা আবাসিকের ২ নং রোডে অবস্থিত মিজানুর রহমান মিনুর বাড়িতে ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১১ টার দিকে মিনু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। হামলাকারীরা প্রথমে বাড়ির সামনে চার-পাঁচটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর বাড়ির নিচতলায় ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। রাজনৈতিক চাপ ও হত্যার হুমকি থাকার কারণে এত দিন মামলা করা যায়নি বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে রাবি শিক্ষক প্রফেসর আওরঙ্গজীব মো. আব্দুর রহমান তার দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর পদ্মা আবাসিকের পোস্ট অফিসের বিপরীতে অবস্থিত মিনুর নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালানো হয়। এসময় হামলাকারি অস্ত্রধারিরা তার ওপর হামলা চালায় এবং চার-পাঁচটি হাত বোমার বিষ্ফেরণ ঘটায়। এসময় হামলাকারিরা অস্ত্র ধরে তার কাছে থাকা ২০ হাজার টাকা লুট করে নেয়।