নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে সব ধরনের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, বাজার তদারকি ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পাহারা থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা। তবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে নিয়মিত আন্দোলন চালাবেন তারা। সেই সঙ্গে সমন্বয়ক পরিচয়ে যেকোনো ব্যক্তির আর্থিক লেনদেন, সুবিধা প্রদান ও ক্ষমতাচর্চার সব ধরনের সুযোগ প্রতিহত করারও আহ্বান জানিয়েছেন সমন্বয়কেরা।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণাসহ কয়েকটি সিদ্ধান্তের কথা জানান ১৭ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয়ক পরিষদের সদস্যরা।
এতে লিখিত বক্তব্য সমন্বয়ক মাহায়ের ইসলাম বলেন, ‘অর্ধ সহস্রাধিক শহীদ ও দুই হাজারের কাছাকাছি আহত এবং পঙ্গুত্ববরণকারী ভাইবোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমাদের এই “দ্বিতীয় স্বাধীনতা”র সূচনা। বিপ্লবপরবর্তী সময়ে অন্তর্র্বতীকালিন সরকার ইতিমধ্যে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। পুলিশ ও প্রশাসন দায়িত্বে ফিরে এসেছে। এ পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’ সিদ্ধান্তগুলো হলো- রাজশাহী মহানগর ও জেলায় সব ধরনের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, বাজার তদারকি এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের পাহারা থেকে শিক্ষার্থীরা সরে আসবেন। শুধু রাত্রিকালীন নিরাপত্তার স্বার্থে সড়কের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ১০ জনের বেশি নয়, এমনসংখ্যক শিক্ষার্থী পাহারার দায়িত্বপালন করতে পারেন। তবে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে।