• মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
রাজশাহীতে লাঞ্ছিতের পর ১২ ঘন্টা মেসে অবরুদ্ধ ছাত্রীরা, গ্রেপ্তার ৩ গভীর রাতে রাজশাহী সীমান্তে বিএসএফের দফায় দফায় গু’লি বর্ষণ, জনমনে আতঙ্ক রাজশাহীর বাগমারায় তেলের ট্রাক বিস্ফোরণে পুড়লো ৪শ ব্যারেল তেল, ৮ দোকান রাবির ৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, ৩৩ জনের নানা মেয়াদে শাস্তি রাজপাড়া থানার নতুন ভবন উদ্বোধন করলেন আরএমপি পুলিশ কমিশনার উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক পাকিস্তানি চিনি, আলুসহ শিল্পের কাঁচামাল নিয়ে এলো সেই জাহাজ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন রাজশাহীর চারঘাটে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫ সার সঙ্কটে রাজশাহীতে ব্যাহত হচ্ছে আলুচাষ, দামও অতিরিক্ত

জানা গেল শেখ পরিবারের কে কোথায়

Sonia Khatun / ৪১ Time View
Update : রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪

আরবিসি ডেস্ক: জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশ। শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে এই প্রথা বাতিলের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে আসে। কিন্তু তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তাদের দাবি না মেনে বল প্রয়োগ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করে।

এতে শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এরপর তৎকালীন সরকার তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসলেও শিক্ষার্থীরা নয় দফা দাবি জানায়। এরপর সরকারের বল প্রয়োগ অব্যাহত থাকলে শিক্ষার্থীদের দাবি আস্তে আস্তে সরকার পতনের এক দফায় রূপান্তরিত হয়। অবশেষে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার রোষানলে পদত্যাগ করে দেশ থেকে ভারতে পালিয়ে গেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিন পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে সরকার প্রধান শেখ হাসিনা সময় পেয়েছিলেন মাত্র ৪৫ মিনিট। শেখ হাসিনাকে নিয়ে সামরিক বিমান যখন যাত্রা করে তখন সেখান থেকে কয়েকশ’ গজ দূরে আগাঁরগাওয়ে লাখো মানুষের স্রোত। কিছু সময়ের মধ্যেই গণভবন, সংসদ ভবন এলাকা দখলে নেয় আন্দোলন বিজয়ী জনতা। এমন অবস্থায় আওয়ামী লীগের দলীয় মন্ত্রী-এমপি এবং সিনিয়র নেতারা কে কোথায় গেছেন এই জিজ্ঞাসা অনেকের। সিনিয়র নেতাদের অনেকে ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নিয়েছেন আবার কেউ কেউ আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আবার পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে সরকার পতনের আগেই অনেক মন্ত্রী-এমপি বিদেশে চলে গেছেন।

শেখ পরিবারের কয়েকজন সদস্যও ৫ই আগস্টের আগেই দেশ ছাড়েন। রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যই এখন আর দেশে নেই। ৫ই আগস্টের আগে-পরে তারা দেশ ছেড়ে গেছেন।

জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট সামরিক বিমানে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। ওই দিন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছাড়া পরিবারের আর কোনো সদস্য তখন দেশে ছিলেন না। শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দিল্লিতে কর্মরত। সরকারের পতনের সময় তিনি দিল্লিতেই ছিলেন। দিল্লিতে যাওয়ার পর তার মা এবং খালার সঙ্গে সায়মার সাক্ষাৎ হয়। শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক বৃটিশ মন্ত্রী, তিনি লন্ডনে বসবাস করা। শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান সিদ্দিক সরকার পতনের সময় দেশে ছিলেন না।

গত ৩ আগস্ট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশ ছাড়েন বঙ্গবন্ধু পরিবারের আরেক সদস্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস। শেখ ফজলে নূর তাপসের বড়ভাই শেখ ফজলে শামস পরশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান। তিনি দেশে আছেন নাকি বিদেশে এ নিয়ে সংগঠনের কারও কাছে তথ্য নেই। যুবলীগের একজন নেতা জানিয়েছেন, ফজলে শামস পরশ আন্দোলন চলাকালে কোনো এক সময় তিনি বিদেশে গেছেন।

এদিকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম দেশ ছাড়তে পারেনি বলে জানা গেছে। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য হিসেবে বরিশালে প্রভাবশালী নেতা ছিলেন আবদুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ছোট ছেলেকে নিয়ে ভারতে চলে গেছেন। তার আরেক ছেলে বরিশাল সিটির সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এবং আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র ছোট ভাই সিটির বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ দেশেই আত্মগোপনে আছেন।

বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক এমপি শেখ হেলাল সরকার পতনের আগেই দেশ ছেড়ে গেছেন। তবে তার ছেলে বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময় দেশ ছাড়তে পারেননি। তিনি দেশেই আত্মগোপনে আছেন। শেখ হেলালের ভাই খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ সালাউদ্দীন জুয়েলকে সরকার পতনের পর টুঙ্গিপাড়ায় আছেন বলে জানা গেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category