নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা, গুলি ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক এমপি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ জাকিরুল ইসলাম সান্টু ও তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র খন্দকার সায়লা পারভিনসহ আওয়ামী লীগের ৮২ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
শনিবার রাতে বিস্ফোরক আইনে বাগমারা থানায় মামলাটি দায়ের করে উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়ন যুবদল নেতা আব্দুল মতিন (৩২)। মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে ৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। আসামীদের মধ্যে তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র খন্দকার সায়লা পারভিন সাবেক এমপি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী।
আব্দুল মতিন উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের খাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলা যুবদলের সদস্য।
অভিযোগকারী আব্দুর মতিন বলেন, এমপি আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে রামরামা গ্রামের যুবদল নেতা মুনসুর রহমানকে ভবানীগঞ্জ পৌরসভার চাঁনপাড়া এলাকায় পিটিয়ে জখম করার পর পায়ে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে ফেলে রেখে চলে যায় যুবলীগের ক্যাডাররা। অল্পের জন্য প্রানে বেঁচে যান তিনি। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর তারা বিএনপির মিছিলে হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের মারপিট করে এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
মামলার অভিযোগের বরাদ দিয়ে বাগমারা থানার ওসি অরবিন্দ সরকার বলেন, গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পূর্বে উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় তৎকালীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ জাকিরুল ইসলাম সান্টু ও তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র খন্দকার সায়লা পারভিন দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা, বাড়িঘর ও দোকান পাট ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, হাট বাজারে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়াও ওইদিন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকায় বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীদের মারপিট ও গুলি করে জখম করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ওসি বলেন, পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। একই সঙ্গে আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। আশা করছি দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।