আরবিসি ডেস্ক: নাটোরে ইয়াসিন ইসলাম (১৭) নামের এক কিশোরকে ঘরে আটকে রেখে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নাটোর-২ (সদর-নলডাঙ্গা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলামসহ (শিমুল) ১১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আজ রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে নিহত ইয়াসিনের বাবা ফজের আলী বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক কৃষ্ণপদ রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছুটিতে থাকায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মামলার বাদী ফজের আলী শহরের মল্লিকহাটি মহল্লার মনু মিয়ার ছেলে। থানায় লিখিত এজাহার দেওয়ার পর সেটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। মামলার এজাহারে শেখ হাসিনা, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরীকে প্রধান আসামি উল্লেখ করা হয়।
এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোর্তুজা বাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক মালেক শেখ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মোস্তাক আলী, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ওয়ার্ড কমিশনার জাহিদুর রহমান, আরিফুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলামের পিএস আকরাম হোসেন, সহোদর সাজেদুল আলম, তেবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উমর আলী।
মামলায় অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা ৪ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে শহরের মাদ্রাসা মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বাদীর ছেলে ইয়াসিনকে অপহরণ করা হয়। পরে তাকে সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলামের বাড়ির দোতলার একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। পরদিন বিকেলে আসামিরা ছেলেটিকে আটকে রেখে ঘরে আগুন দিয়ে পালিয়ে যান। আগুনে পুরো বাড়ি পুড়ে যায়। এতে বাদীর ছেলে ইয়াসিনও নিহত হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, ঘটনার পরদিন বাড়ি থেকে নিহত ইয়াসিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের ৬০ ভাগ পুড়ে যাওয়ায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাকে দাফন করা হয়। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি খারাপ থাকায় মামলা করতে কিছুটা দেরি হয়েছে বলে বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেন।