• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১০ পূর্বাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
রাবির ৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, ৩৩ জনের নানা মেয়াদে শাস্তি রাজপাড়া থানার নতুন ভবন উদ্বোধন করলেন আরএমপি পুলিশ কমিশনার উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক পাকিস্তানি চিনি, আলুসহ শিল্পের কাঁচামাল নিয়ে এলো সেই জাহাজ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন রাজশাহীর চারঘাটে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫ সার সঙ্কটে রাজশাহীতে ব্যাহত হচ্ছে আলুচাষ, দামও অতিরিক্ত রাজশাহীতে ফের বাস ও সিএনজি চালকের সংঘর্ষ, দুই পক্ষের মীমাংসা স্থগিত কিডনি রোগীর চিকিৎসা আর আইফোন কিনতে ডাকাতির চেষ্টা: পুলিশ তনুর গ্রাফিতিতে পোস্টার সাঁটানো নিয়ে যা বললেন মেহজাবীন

রাজশাহী জেলা আ’লীগের সভাপতিকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় বাগমারা উপজেলার আ’লীগের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে দুর্বৃত্তদের হামলা

Reporter Name / ১৬১ Time View
Update : শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাঘায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল গুরুতর আহত হয়। পরে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান তিনি। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বাঘা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার নামাজের আগে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমকে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।

মরহুমের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে যান রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাগমারা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার। সেখানে তাকে লাঞ্ছিত করা হয় এবং জানাযা থেকে বের করে দেয়া হয়।
এছাড়া বাবুল হত্যা কান্ডের সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পবা-মোহনপুর আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদের সরাসরি ইন্ধন আছে বলে বক্তব্য প্রদান করেন বাঘা-চারঘাটের সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

এদিকে কেন্দ্রীয় নেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, এমপি আসাদুজ্জামান আসাদ এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার এবং রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকারকে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। শনিবার এ উপলক্ষ্যে ভবানীগঞ্জ নিউ মার্কেটের প্রধান ফটকে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে একের পর হামলা ঘটনা ঘটেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, হামলাকারীরা রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের এমপি আবুল কালাম আজাদের অনুসারী।

এ সময় বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকারসহ সঙ্গীয় ফোর্স এমপির অনুসারীদের বাধা দিলেও কোন লাভ হয়নি বলে জানা গেছে। তারা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের ব্যানার টেনে হিছড়ে কেড়ে নেয় এবং সমাবেশ উপস্থিতদের উপর হামলা চালায়। বিক্ষোভ সমাবেশের সেই ব্যানারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সজিব ওয়াজেদ জয় এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পবা-মোহনপুর আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকারের ছবি থাকতে দেখা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয়রা জানান, এমপি আবুল কালাম আজাদের অনুসারী প্রায় ২৫-৩০ জন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের উপর হামলা করে। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়রসহ সভাপতি আব্দুল মালেক মন্ডলসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে কিল ঘুষিসহ শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে।

এ সময় বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মালেক মন্ডল, দপ্তর সম্পাদক নূরুল ইসলাম প্রমূখ।

এ সমাবেশ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবী, শুভডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাহার আলী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেজানুর রহমান সেজান, উপজেলা যুব লীগের নেতা সাইদুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন আলী, ইউপি সদস্য সুকমল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি নাইম ইসলাম সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল মালেক মন্ডল বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করছিলাম। এ সময় এমপি আবুল কালাম আজাদের ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা আমাদের উপর হামলা করে। এ সময় তারা আমাকে ও আমার সাথে যারা ছিলেন তাদেরকে কিল ঘুষি মারে ও শার্ট, পাঞ্জাবি ছিড়ে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে। সেই সাথে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেয়া বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে ইটপাটকেল ছুঁড়ে ও লাঠি দিয়ে মারপিট করেছে। যার ভিডিও ফুটেজ আছে। আমরা এই সন্ত্রাসী এমপি আবুল কালাম আজাদের ক্যাডারদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি। তারা পুলিশের বাধা ভেঙ্গে আমাদের উপর হামলা চালাই। একবার না দফায় দফায় হামলা করে এই সন্ত্রাসীরা বলেও জানান তিনি।

আরবিসি/ ২৯ জুন’২৪/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category