• মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৪ অপরাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ

রাজশাহীর পবা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পপির রকেটের গতিতে বয়স বৃদ্ধির তদন্ত করল কমিটি

Reporter Name / ৯৬ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পপি খাতুন ভোটের আগে কীভাবে ‘রকেটের গতিতে’ তাঁর বয়স চার বছর বাড়িয়েছেন, তার সরেজমিন তদন্ত করেছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তদন্ত কমিটি। বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটির সদস্যরা রাজশাহী গিয়ে সার্বিক বিষয় সরেজমিনে তদন্ত করেন। পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের লিখিত বক্তব্য নেন তারা।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (প্রবাসী ও নিবন্ধন) মো. আব্দুল মমিন সরকার। আর কমিটির সদস্যসচিব জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মুদ্রণ ও বিতরণ শাখার উপপরিচালক (চ.দা.) এ এস এম ইকবাল হাসান। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সহকারী প্রোগ্রামার (উপাত্ত ব্যবস্থাপনা শাখা) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষাসনদ, পাসপোর্ট, ভোটার তালিকা ও ফেসবুকসহ সবকিছুতেই থাকা জন্মতারিখ অনুযায়ী পপি খাতুনের বয়স ২২। কিন্তু উপজেলা নির্বাচনের আগে জন্মতারিখ সংশোধন করে রাতারাতি পপির বয়স বেড়ে দাঁড়ায় ২৬ বছরে। আবেদন করার একদিন পরই তাঁর বয়স বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘বয়স বাড়িয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পপি’ শিরোনামে বহু সংবাদ প্রকাশ হয়।
এতে রাজশাহীতে তোলপাড় শুরু হয়। নড়েচড়ে বসেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

গত ১৯ জুন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক (অপারেশনস) মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ‘রকেটের গতিতে’ কীভাবে পপির বয়স বাড়লো তা তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটির সদস্যরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসেন। তারা পবা উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সরকার অসীম কুমার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান প্রামানিক, পবার হুজরিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা ও বিজয়ী প্রার্থী পপি খাতুনের সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়া রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক এবং পবা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গেও কথা বলেন তারা। সবার কাছ থেকে এ বিষয়ে লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করা হয়েছে। অনলাইন সার্ভার থেকে পপির বয়স বৃদ্ধি সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্রও দেখেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

তদন্ত কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (প্রবাসী ও নিবন্ধন) মো. আব্দুল মমিন সরকার বলেন, ‘আমরা সবকিছু তদন্ত করে দেখেছি। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা আমাদের ফাইন্ডিংস ঢাকায় ফিরে প্রতিবেদন আকারে দেব। সেই সঙ্গে আমাদের কিছু সুপারিশ থাকবে। সে অনুযায়ী কমিশন ব্যবস্থা নেবে।’

আরবিসি/২৭ জুন’২৪/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category