আরবিসি ডেস্ক : তপ্ত রোদে বাইরে গেলেই ত্বক জ্বালা করে। যারা দীর্ঘ সময় রোদে থাকেন কিংবা রান্নাঘরে থাকেন তাদের ত্বকের কোষ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাইরে থেকে ফিরে কিংবা রান্না শেষে বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। নয়তো অল্প সময়ে ত্বক বুড়িয়ে যাবে, ত্বকে কালো দাগ পড়বে। এমনকি ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডসের সাথে সাথে পোরস বড় হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা বাড়বে। এই গরমে ত্বকের স্বস্তিতে ব্যবহার করতে পারেন আইস কিউব।
রূপচর্চায় আইস তথা বরফের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। কোরিয়ানদের রূপচর্চায়ও আইস ফেসিয়ালের জনপ্রিয়তা রয়েছে। বাইরে থেকে ফিরে কিংবা রান্না শেষে বরফ দিয়ে রূপচর্চা করলে ত্বকের জ্বালা কমবে, ত্বক শীতল হবে। একইসঙ্গে বাড়বে ত্বকের উজ্জ্বলতা। চোখের ফোলাভাব, কালো দাগ, বয়সের ছাপ দূর করতেও আইস কিউবের জুড়ি নেই। তৈলাক্ত ত্বকে আইস কিউব ব্যবহার করলে তৈলাক্ততা কমবে। মেকআপের আগে আইস কিউব ব্যবহার করলে মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী হয়।
যেভাবে ঘরেই বানাবেন বিভিন্ন উপাদানের আইস কিউব:
১. কেবল নরমাল পানি আইস ট্রেতে রেখে দিতে পারেন। জমে গেলে তা পুরো মুখ, চোখ, ঘাড় ও গলায় ব্যবহার করতে পারেন।
২. আইস ট্রেতে ডাবের পানিও রাখতে পারেন। ডাবের পানি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাজ করে। এ পানিতে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান ত্বককে প্রাণবন্ত করবে।
৩. অ্যালোভেরার পাতা থেকে জেল বের করে তা আইস ট্রেতে রেখে জমিয়ে নিন। এরপর রান্না শেষে কিংবা বাইরে থেকে ফিরে পুরো মুখে ব্যবহার করুন। অ্যালোভেরায় থাকা বিভিন্ন উপাদান গভীর থেকে ত্বকের উপকার করে।
৪. ব্রণের সমস্যা কমাতে গ্রিন টি আইস কিউব করে ব্যবহার করতে পারেন।
৫. ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে এবং তৈলাক্ত ভাব দূর করতে শসার রস, লেবুর রস ও গোলাপ জল মিশিয়ে আইস কিউব বানিয়ে ব্যবহার করুন।
৬. ডার্ক সার্কেল ও চোখের ফোলাভাব কমাতে আলুর রস কিংবা চায়ের লিকার দিয়ে আইস কিউব বানিয়ে নিন।
ব্যবহারের নিয়ম:
আইস কিউব সরাসরি ব্যবহার করলে ত্বকে র্যাশ বা চুলকানি হতে পারে। সুতি কাপড়ে কয়েক টুকরো আইস কিউব নিয়ে ভালো করে বেঁধে ব্যবহার করুন। সার্কুলার মোশনে আলতোভাবে দিনে দুইবার ব্যবহার করবেন। প্রতিবার দুই মিনিটের বেশি ত্বকে আইস কিউব ব্যবহার না করা ভালো।
সূত্র: ভোগ, ফার্মা ইজি
আরবিসি/২৩ এপ্রিল/ রোজি