আরবিসি ডেস্ক : ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি করে।
তারই অংশ হিসেবে মার্চ মাসের মাসিক কর্মসূচি এবং পবিত্র রমজানের বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে।
আর পণ্য তালিকায় সয়াবিন তেল, চিনি, মসুর ডাল ও চালের সঙ্গে পবিত্র রমজান উপলক্ষে যুক্ত করা হয়েছে খেজুর।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিসিবি জানায়, নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্যাদি (ভোজ্য তেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
পবিত্র রমজান উপলক্ষে দ্বিতীয় পর্বের বিক্রয় কার্যক্রম ৭ মার্চ থেকে সারাদেশে শুরু হবে।
একজন ফ্যামিলি কার্ডধারী ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল এক কেজি চিনি ও এক কেজি খেজুর কিনতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১০০ টাকা, এক কেজিপ্রতি চিনি ৭০ টাকা ও মসুর ডাল ৬০ টাকা এবং খেজুর ১৫০ টাকা ও চাল ৩০ টাকায় বিক্রি করবে টিসিবি।
টিসিবি বলছে, সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিবেশকেরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এসময়ে নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত জায়গা থেকে পণ্য নিতে পারবেন পরিবার কার্ডধারীরা।
এদিকে ভর্তুকি মূল্যে চিনির দাম কেজিতে ৩০ টাকা বাড়ানো হলেও পরে তা কমিয়ে আগের দামেই বিক্রির ঘোষণা দেয়া হয়। আজ ৭ মার্চ কলোনি বাজার পলিটেকনিক মাঠে টিসিবি আয়োজিত টিসিবি পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মিল গেইট থেকে রমজানের আগে এক টাকাও দাম বাড়বে না চিনির মূল্য।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি লোককে প্রতি মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেয়া হচ্ছে। টিসিবির সেবাগ্রহণকারী গ্রাহকদের তথ্য আবার যাচাই বাছাই করে ডিজিটাল কার্ড দেয়া হচ্ছে।
রমজানেও সাধারণ মানুষ ভালোভাবে ইফতার করতে পারে সেজন্য চিনির দাম ৩০ টাকা কমিয়ে ৭০ টাকাই রাখা।