• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন

নওগাঁয় ইউএনও কার্যালয়ে ঘুষ বাণিজ্যে নাকাল সেবাগ্রহীতারা

Reporter Name / ১২৭ Time View
Update : শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

আরবিসি ডেস্ক : মুদ্রাক্ষরিকের ঘুষ বাণিজ্য, অনিয়ম ও হয়রানিতে নাকাল সেবাগ্রহীতারা। অফিস সহকারী কাম-মুদ্রাক্ষরিক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

উপজেলার রাতোয়াল গ্রামের দক্ষিণপাড়ার নজরুল ইসলাম বলেন, আমি পার্শ্ববর্তী ভাটকৈ মৌজায় একটি জমি কিনে খাজনা ও খারিজ করার পর মালিক আমাকে জমি বুঝিয়ে দেন। এরপর থেকে জমিতে ফসল চাষ করে আসছি। সম্প্রতি জমির মালিকের কথিত ওয়ারিশরা এসে জমি দখল করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করলে অভিযোগপত্রটি আসে অফিস সহকারী রেজাউলের কাছে। রেজাউল তখন নানা বাহানা দেখিয়ে খরচ হিসেবে ৩ হাজার টাকা নেয়। এরপর কয়েক মাস পার হলেও অভিযোগটির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। একপর্যায়ে জানতে পারি, রেজাউল আমার প্রতিপক্ষের সঙ্গে আঁতাত করে মোটা অংকের অর্থ ঘুষ নিয়ে তাদের উস্কানি দিলে তারা আবার আমার জমি দখল করে আমার লাগানো জমির ধান জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যায়। অতিষ্ঠ হয়ে আমি কোর্টে মামলা করি।

আরেক ভুক্তভোগী কাঠমিস্ত্রি মিজানুর রহমান জানান, তিনি উপজেলার খট্টেশ্বর রাণীনগরের সাইদুর রহমানের ছেলে সম্রাট রহমানের বিরুদ্ধে ‘নামখারিজকৃত সম্পত্তির অবৈধভাবে ভোগদখলের প্রতিকার’ চেয়ে ২০২৩ সালে আবেদন করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি করে তৎকালীন ইউএনও শাহাদাত হুসেইন ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের ৩১ তারিখে বাদীর পক্ষে রায় প্রদান করেন। সেই রায়ের কপি সংগ্রহ করার জন্য বহুবার রেজাউল করিমের কাছে গেলেও সাড়া পাননি। এরমধ্যে ইউএনও শাহাদাত হুসেইন বদলী হয়ে চলে গেলে রেজাউল মামলার বিবাদী সম্রাটের সঙ্গে আঁতাত করে রায়ের কপি যাতে বাদীপক্ষ না পায় সেজন্যে নানা অপকৌশল চালায়। তিনি আরও বলেন, আমি গরীব মানুষ। রেজাউলের চাহিদা মতো ঘুষ দিতে পারিনি বলেই এমন হয়রানির শিকার হয়েছেন।

কনৌজ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্বাস উদ্দিন বলেন, আমারসহ আরও কয়েকজন কৃষকের কনৌজ মাঠে থাকা প্রায় ১০বিঘা ফসলী জমি সমতল করার প্রয়োজন। জানুয়ারি মাসে আবেদন করলে ডিসি সেই আবেদনের যৌক্তিকতা যাচাইয়ের দায়িত্ব দেন ইউএনওকে।

ইউএনও বিষয়টি তদন্ত করে ২ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। তদন্তকারী কর্মকর্তারা ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখ প্রতিবেদন দাখিল করেন। রেজাউল করিম সেই প্রতিবেদনটি ইউএনওকে পৌঁছাতে টালবাহানা শুরু করেন। এদিকে চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধান চাষের সময় চলে যাচ্ছে।

এই বিষয়ে রেজাউল করিম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং আমি ওই সেবাগ্রহীতাদের সহযোগিতার চেষ্টা করেছি। বর্তমান ইউএনও জমিসংক্রান্ত কোনো অভিযোগ নিতে চান না। তাই ভুক্তভোগীদের আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

এই বিষয়ে বক্তব্য নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুমকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।

আরবিসি/১৭ ফেব্রুয়ারী/অর্চনা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category