নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশসেরা রাজশাহী কলেজের হোস্টেল থেকে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় কলেজের ২ শিক্ষার্থীসহ মোট ৫ শিক্ষার্থীকে হাতেনাতে ধরেছে কলেজ প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক পৌনে ১০টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়। তবে পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দিয়েছে কলেজ প্রশাসন।
অভিযুক্তরা হলেন- কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মুশফিক ও গণিত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জোবায়ের। তারা উভয়েই রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসে ‘ই’ ব্লকে থাকেন। আর বহিরাগত তিন সহযোগী তাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের হরিমোহন স্কুলের সহপাঠী ছিলেন।
রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা: আব্দুল খালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কলেজের হিন্দু হোস্টেলে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মুসলিম হোস্টেলে একটি অভিযান চালানো হয়। এ সময় গাজা সেবনরত অবস্থায় পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করে কলেজ প্রশাসন। তাদের কাছ থেকে গাঁজা সেবনের বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয়।
অধ্যক্ষ বলেন, রাজশাহী কলেজের ভাবমূর্তি নষ্ট করে এমন কোনো অনৈতিক কাজ কলেজ হোস্টেলে যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজকে যারা এই রকম অনৈতিক কার্যকলাপ করছিল তাদের সবাইকে মুচলেকা নিয়ে কলেজ হোস্টেল থেকে আজীবনের জন্য বের করে দেওয়া হয়েছে। পড়াশোনা সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে আগামীতেও অভিযান অব্যাহত থাকবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় দিনই বহিরাগতদের নিয়ে এসে নেশাদ্রব্য সেবন করে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা দেন একদল আবাসিক শিক্ষার্থী। এতে চরম বেকায়দায় পড়তে হয় অন্য শিক্ষার্থীদের। একাধিক বার হোস্টেল সুপারের নজরে আনার চেষ্টা করলেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় নি। কয়েক দফা অভিযান চালানো হলেও অজ্ঞাত কারণে কোনো কিছু উদ্ধার করতে সক্ষম হননি। এতে কর্তৃপক্ষের ওপর অতিষ্ঠ হয়ে হলের সিটও ছেড়েছেন অনেক শিক্ষার্থীই।
তাদের অভিযোগ, নিয়মিত মাদকদ্রব্য সেবনের ফলে অধ্যয়নের পরিবেশ নেই বললেই চলে। তবে অপ্রীতিকর ঘটনার ভয়ে প্রশাসন কিংবা গণমাধ্যমে কোনো কথাও বলতে চান না তারা। নিরূপায় হয়ে হল ছেড়ে মেসেও সিট নিয়েছেন অনেকেই। এছাড়াও ছাত্রলীগের পদ-পদবী না থাকলেও নাম ভাঙ্গিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে বিস্তর।
আরবিসি / ১৬ ফেব্রুয়ারী / অর্চনা