আরবিসি ডেস্ক : মা হওয়ার যাত্রা মোটেই সহজ নয়। গর্ভধারণ থেকে শুরু করে সন্তান জন্ম দেওয়া পর্যন্ত অনেকগুলো ধাপ একজন নারীকে পার করতে হয়।
কাঙ্ক্ষিত মাতৃত্বের স্বাদ পাওয়ার জন্য নিজের শরীরের কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। মা হতে চাইলে ওভুলেশনের লক্ষণ জেনে নেওয়া জরুরি। কারণ এতে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বাড়ে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত-
ওভুলেশন কী
নারীর ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণ হওয়াকে ওভুলেশন বলে। মাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ওভুলেশনের প্রক্রিয়া হয়ে থাকে। ঋতুচক্র যদি ২৮ দিনের হয় তবে সাধারণত ১৪ থেকে ১৬ দিনের কাছাকাছি সময়ে ওভুলেশন হতে পারে।
তবে এটিই যে সঠিক তা নয়। বরং এটি কখনো কখনো পরিবর্তন হতে পারে। আপনি যদি বুঝতে পারেন মাসের কোন সময়ে ওভুলেশন হচ্ছে, তাহলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক ওভুলেশনের লক্ষণ-
১. শরীরে তাপমাত্রায় পরিবর্তন
ওভুলেশনের সময় শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তন হতে পারে। বল বেসাল বডি টেম্পারেচার বা বিবিটি হলো ২৪ ঘণ্টায় শরীরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এতে পরিবর্তন আসতে পারে ওভুলেশনের সময়ে। ডিম্বানু বের হওয়ার পর বিবিটি ০.৫ থেকে ১ ডিগ্রি ফারেনহাইট মতো বাড়ে।
২. সাদা স্রাবের ধরণে পরিবর্তন
সাদা স্রাব হওয়া সাধারণ। তবে এর রঙ কিংবা ধরনের দিকে খেয়াল রাখলে ওভুলেশনের সময়টা বুঝতে সুবিধা হবে। ওভুলেশনের কিছুদিন আগে বা পরে দুধের মতো স্রাবের বদলে স্বচ্ছ তরল নির্গত হতে থাকে। অনেক সময় ডিমের সাদা অংশের মতোও হতে পারে।
৩. জরায়ুর মুখে পরিবর্তন
জরায়ুর মুখে পরীক্ষা করেও ওভুলেশনের সময় সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যেতে পারে। এসময় জরায়ুর মুখ নরম ও ভিজে ভিজে হয়ে থাকে। আবার এটি সামান্য একটু উপরের দিকেও যায়। তাই এদিকে খেয়াল রাখতে পারেন। তবে এটি বোঝা খুব বেশি সহজ নয়।
৪. ব্যথা
ওভুলেশনের সময় অনেকে ব্যথা অনুভব করতে পারেন। এসময় পিঠে বা পেটে ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় স্তনেও ভারীভাব থাকতে পারে।
সেইসঙ্গে স্তনে হালকা একটা ব্যথাও অনুভূত হতে পারে। তবে সবার ক্ষেত্রেই একইরকম লক্ষণ দেখা দেয় না। বিভিন্ন নারীর ক্ষেত্রে ওভুলেশনের লক্ষণে ভিন্নতা দেখা যেতে পারে।
আরবিসি / ১১ ফেব্রুয়ারী / অর্চনা