আরবিসি ডেস্ক : বাবার হাত ধরে সিসিমপুরের হালুম, টুকটুকি, ইকরি আর শিকুকে দেখতে এসেছে ৬ বছরে শিশু নাবিলা। এতদিন টিভির পর্দায় দেখা এসব চরিত্রকে সামনে থেকে দেখে তার বাধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। বারবার মঞ্চের দিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে ছোট্ট শিশুটি বলছিল, বাবা ওই যে হালুওম, ওই যে টুকটুকি।
শুধু নাবিলা নয় বরং বইমেলার শিশু চত্বরে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) শিশু প্রহরে জড়ো হয়েছিল অসংখ্য শিশু-কিশোররা। সিসিমপুরের পরিবেশনা, শিশু প্রহর, কার্টুন-ছড়ার বইসহ আনন্দঘন পরিবেশে তারা আনন্দের জোয়ারে উদ্বেলিত হয়েছে।
শিশু চত্বরে আসা ছোট্ট শিশু কিশোরদের আনন্দঘন পরিবেশ আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল বোম্বে সুইটসের তাকধুম প্রকাশনীর মিস্টার টুইস্ট। কস্টিউম পরিহিত মিস্টার টুইস্টকে ঘিরে শিশুদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। ছিল ছবি-সেলফি তোলার হিড়িকও। তার সাথে হাত মেলাতেও দেখা যায় অনেককে।
সিয়াম নামে এক কিশোর বলে, প্রতিবছরই মেলায় আসি। তবে এবার আনন্দটা বেশি হচ্ছে। শিকু, টুকটুকি, ইকরি আর হালুমকে দেখেছি। মিস্টার টুইস্টের সাথে ছবি তুলেছি। অনেকগুলো ড্রইং এবং কার্টুনের বইও কিনেছি। খুব ভালো লেগেছে। সামনে ছুটির দিনে আবারও আসব।
রুবাইয়াত নামে আরেক শিশু বলে, আব্বুর সঙ্গে মেলায় এসেছি। অনেক ভালো লাগছে। কার্টুন আর ছড়ার বই কিনেছি।
অভিভাবকরাও বলছেন, বইমেলায় শিশুদের জন্য এমন আয়োজন বাড়তি আনন্দ যুক্ত করেছে। শিশুরা বইমেলায় এসে ঘোরাফেরা করতে পারছে। তাদের জন্য আলাদা জায়গা তৈরি হওয়ার কারণে শিশুতোষ বই কিংবা কার্টুনের বইগুলো খুঁজে বের করতে হচ্ছে না। এক সঙ্গে সব পাওয়া যাচ্ছে।
আব্দুল গাফফার নামে এক অভিভাবক বলেন, শিশু প্রহর দেখার জন্যই মূলত এখানে বাচ্চাকে নিয়ে এসেছি। আর সে নিজে থেকেই আসার ব্যাপারে খুব আগ্রহী ছিল। আজকে আমার ছুটির দিন হওয়াতে নিয়ে আসতে পেরেছি। এখানে এসে বাচ্চারা আনন্দ পেয়েছে। আবার আমরাও বইমেলা ঘুরে দেখতে পারলাম। ভালোই লাগছে।
মেলার শুরুর দিকেই শিশু চত্বরের এমন জমজমাট অবস্থায় খুশি সংশ্লিষ্টরাও। তাকধুম প্রকাশনীর স্টল ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের সব আয়োজন মূলত শিশুদের জন্য। এখানে কার্টুন বই, হাতের লেখা শেখার বই, ছবি আঁকার বই, খাতা, কলম রয়েছে। সর্বনিম্ন ১২০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২২০ টাকা পর্যন্ত দামে এসব বইপত্র কেনা যাচ্ছে। তাছাড়া আমাদের এখানকার মিস্টার টুইস্টকে নিয়েও শিশুদের কৌতূহল এবং আনন্দের শেষ নেই। এসব দেখে বেশ ভালোই লাগছে।
ঘাসফড়িং স্টলের বিক্রয় কর্মী অমিত বলেন, শিশু প্রহরের সময় ভালোই বেচাকেনা হয়। আজ সকাল ১১টা থেকে শিশু চত্বর মুখরিত ছিল। তবে কাল থেকে এত ভিড় থাকবে না বলে মনে হচ্ছে। আজকে ছুটির দিন থাকাতে এত ভিড় হচ্ছে। কাল থেকে কেমন পরিবেশ হয় সেটিই দেখার বিষয়।
আরবিসি / ৩ ফেব্রুয়ারী / ক