আরবিসি ডেস্ক : সব সময় মন-মেজাজ ভালো রাখা সম্ভব হয় না। অনেকক্ষেত্রে আমরা মেজাজ ঠিক রাখতে পারি না। অনেকেই রেগে গেলে ভাঙচুর করেন, উচ্চস্বরে চিৎকার করেন, এমনকি গায়ে হাতও তুলে ফেলেন। অতিরিক্ত রাগের প্রভাব পড়তে পারে ব্যক্তিজীবন, সামাজিক ও পেশাগত জীবনেও। কিন্তু ঝগড়ার সময়েই মেজাজ রাখতে হয় শান্ত। ধীরে সুস্থে খুঁজতে হয় সমস্যার সমাধান।
রাগকে বশে আনা বেশ কঠিন ব্যাপার। চলুন জেনে নেই যে ব্যাপারগুলো ঝগড়ার সময়েই রাগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে:
সবচেয়ে জরুরি কথা শোনা
ঝগড়ার সময় বেশিরভাগ সময় দেখা যায় দুইদিকের থেকে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ যোগাযোগের অভাব। মনোযোগ ও ধৈর্য ধরে অপরের কথা শুনলে সহজেই অনেক ঝগড়ার সমাধান করা সম্ভব। আবেগী হয়ে অনেকেই নিজেদের মনের কথা ঝগড়ার সুরে হলেও খুলে বলেন। তাই ঝগড়ার সময় অন্তত অপর পক্ষকে কথা বলার সুযোগ দিন। প্রয়োজনে নিজের অবস্থানও খুলে বলতে পারেন। ফলে দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থান বুঝতে পারবেন।
বলার আগে ভেবে বলার চেষ্টা
মুহূর্তের উত্তাপে এমন কিছু বলা উচিত নয় যার জন্য পরবর্তীতে অনুশোচনা করতে হয়। ঝগড়ার সময় প্রতিটি শব্দের মূল্য বেড়ে যায় বহুগুণ। ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম শব্দের আঘাত মনে লেগে থাকে অনেক দিন। রাগের মুহূর্তে আমরা এমন সব কথা বলে ফেলি যা পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করে তোলে। কিছু বলার আগে নিজে চিন্তা করে নিন কয়েক মুহূর্ত। ভাবুন, আপনার এই কথা বা আচরণে আরেকজনের প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে। কী বলবেন, কী বলবেন না, ভেবে কথা বলুন। কারণ, আপনার একটি শব্দই বহু বছরের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট।
বিরতি নেওয়া
ঝগড়ার সময়ে প্রত্যেকের মনই বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকে। অশান্ত মনে স্বাভাবিকভাবে একে অপরের কথা শোনা কিংবা বোঝা প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার। তাই ঝগড়া থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে শান্ত করুন। বড় বড় শ্বাস নিন, নিজেকেই নিজে শান্ত করার চেষ্টা করুন। এতে করে শান্তভাবে বসে অপর পক্ষের কথাও বোঝা যায়।
ক্ষমা করতে শিখুন
রাগকে নিজের মধ্যে পুষে না রেখে, ক্ষমা করে দেওয়ার চেষ্টা করুন। ক্ষমা একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। আপনি যদি রাগ বা অন্যান্য নেতিবাচক অনুভূতিগুলোকে নিজের মধ্যে লালন করতে থাকেন তবে নিজের ভেতরের তিক্ততা আপনাকে আরও গ্রাস করবে।
আরবিসি/৩০ জানুয়ারী/কল্পনা