অনলাইন ডেস্ক : জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬২টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। সংসদের বিধিবিধান অনুযায়ী সংরক্ষিত নারী আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০ জনকে মনোনয়ন দিতে পারবেন। তবে নিজেরা মনোনয়ন দেওয়ার প্রক্রিয়ায় না গিয়ে এসব আসনের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীকে অর্পণ করেছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।
রবিবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দ্বাদশ সংসদের স্বতন্ত্র সদস্যরা। পরে তাদের মধ্যে কয়েকজন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
ফরিদপুর-৩ থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এ কে আজাদ বলেন, ‘আমরা নৌকা পাইনি কিন্তু আমরা দলের বিভিন্ন পদে আছি, দায়িত্বে আছি। আবার আমরা স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য। আমরা বলেছি, এলাকায় কাজ করতে নানা অসুবিধা হচ্ছে। সুতরাং দলের মধ্যে যেহেতু আছি সেহেতু আমাদের একত্রিত করা হোক।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, স্বতন্ত্র হিসেবেই তোমরা কাজ করো। এখানে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ এটা আমার ডান হাত, ওটা আমার বাম হাত। যারা দলীয় মনোনয়ন পায়নি, তারা সংসদে বেশি আলোচনা ও সমালোচনার সুযোগ পাবে।’
সংরক্ষিত নারী আসনের বিষয়ে স্বতন্ত্রদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে এ কে আজাদ বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বলে এসেছি, যারা দীর্ঘদিন দলের জন্য কাজ করেছেন। যারা সংসদে জনগণের জন্য ভূমিকা রাখতে পারবেন এমন কাউকে আপনি মনোনয়ন দেবেন। এটা আমরা নিজে থেকে বলে এসেছি। যাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আওয়ামী লীগ এখানে এসেছে, সেসব পরিবারকে স্বীকৃতিস্বরূপ সংরক্ষিত নারী আসন দিতে আমরা অনুরোধ করেছি।’
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা দলের সাংগঠনিক কাজে জড়িত থাকতে পারবে কি না– জবাবে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘অবশ্যই তারা জড়িত থাকতে পারবেন। কারণ, তারা সংগঠনের বিভিন্ন পদে দায়িত্বপালন করছেন। সুতরাং এটাতে কোনো বাধা নেই।’
সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন মহারাজ বলেন, ‘স্বতন্ত্ররা সবাই উপস্থিত হয়েছি এবং প্রধানমন্ত্রী সবার পরিচয় নিয়েছেন, সবার কথা শুনেছেন। ৬২ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সবাই মিলে আমরা দাবি করেছি, আমরা আওয়ামী লীগের লোক। আওয়ামী লীগেই থাকতে চাই। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে চলতে চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তোমরা আওয়ামী লীগের লোক, আওয়ামী লীগেই আছ। সুতরাং আমরা মনে করি, আমরা আওয়ামী লীগে যাচ্ছি এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সংসদে ভূমিকা পালন করব।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ৭ জানুয়ারি। দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন এবং জয়ী হন। বিজয়ী ৬২ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে ৫৯ জন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত, কেউ কেউ পদধারী নেতা। আগামী ৩০ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। সংসদে বিরোধী দল হিসেবে থাকবে জাতীয় পার্টি।