স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপির পক্ষে শান্তিপূর্ণ প্রচারণা চালানোর সময় বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের দামনাশ বাজারে কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের পক্ষে একটি মাইক্রোবাস নিয়ে নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শনে যান এনা গ্রুপের কর্মকর্তাগণ। সেখানে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা ওই গাড়িতে হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাংচুর করে এবং চাবি কেড়ে নেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে তাহেরপুর পৌরসভায় কাঁচি প্রতীক সম্বলিত একটি শান্তিপূর্ণ বাইসাইকেল র্যালিতে হামলা ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কয়েকটি বাইসাইকেল ভেঙ্গে ফেলেছে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা। র্যালিতে থাকা কিশোরদের মারপিট করে বুকে পিস্তল ও চাকু ঠেকিয়ে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখানোসহ পরিহিত পোশাক টেনে ছিঁড়ে ফেলে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা।
অন্যদিকে মাড়িয়া ইউনিয়নের যাত্রাগাছী বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের কর্মী-সমর্থকের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে তারা। ওই হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর বেশ কিছু সমর্থক আহত হয়েছে। আহত ৩ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম, আবুল কাশেম ও জিল্লুর রহমান।
এদিকে ভবানীগঞ্জ পৌরসভার কর্নিপাড়া মহল্লায় আবু বাক্কার সিদ্দিক নামের আরেক সমর্থকের উপরে হামলা চালায় তারা নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা। জানা গেছে তাদের হামলায় চোখের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে আবু বাক্কার সিদ্দিকের।
অন্যদিকে গনিপুর ইউনিয়নের আচিনঘাটে কাঁচি প্রতীকের কর্মীদের উপর হামলা করেন নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সমর্থকরা। তারা সেখানে কাঁচি প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে এবং দুটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।
এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেন, বাগমারায় নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে প্রার্থীসহ তার অনুসারীরা। সমগ্র বাগমারা জুড়ে তারা তান্ডব চালাচ্ছে। বাগমারাকে আবারও অশান্ত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে নৌকার প্রার্থীসহ কর্মীরা। শান্তিপূর্ণ ভোটের পরিবেশ নষ্ট করার পাশাপাশি মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে তারা। শান্তিপূর্ণ বাগমারার মানুষ আর সন্ত্রাস চায় না। আমার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে ভোটে জয়লাভের আশা করে লাভ নেই। বিভিন্ন স্থানে অতর্কিত হামলার ঘটনায় আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি অরবিন্দ সরকার বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। উপজেলা জুড়ে আইন শৃংখলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরবিসি / ২০ ডিসেম্বর/ রোজি