স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাগমারায় উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয় ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্সে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছেন নৌকার প্রার্থীর অনুসারীরা। আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নেক্কারজনক হামলার ঘটনায় দলীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৭ টার দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর আবুল কালাম আজাদের অনুসারীরা সশস্ত্র অবস্থায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে তারা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় দলীয় কার্যালয়ের ভবনে থাকা একাধিক গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে।
তাদের ছোড়া ইট গিয়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্সে থাকা স্বাধীনতার ইতিহাস সম্মলিত চিত্রগুলি ভেঙ্গে গেছে। এছাড়াও দলীয় কার্যালয়ের সামনে থাকা মহান বিজয় দিবসের শ্রদ্ধানিবেদন জানানো এমপি এনামুল হকের ব্যানারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যানার কেটে ফেলেছে। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কমপ্লেক্সের প্রধান দরজা এবং কমপ্লেক্সের সামনের রেলিং নষ্ট করে দেয়। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে এগুলো প্রতিবন্ধকতা বলেও মনে করছেন নেতৃবৃন্দ। দলীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা করে নৌকার প্রার্থী কি বোঝাতে চেয়েছেন এমনটি মনে করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা।
এ ব্যাপারে বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি বলেন, নৌকার প্রার্থীসহ তার অনুসারীরা হুমকী-ধমকী এবং হামলা চালিয়ে বাগমারাবাসীকে উস্কানি দিয়ে চলেছে। তারা শান্ত বাগমারা অশান্ত করার চেস্টা করছে। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কাজ করছেন। সেখানে নৌকার প্রার্থীর এমন আচরণ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করছে। এরই মধ্যে তারা সাধারণ মানুষের উপরে হামলা চালিয়েছে। শুধু তাই নয়, নৌকার প্রার্থীর লোকজন সমগ্র উপজেলা জুড়ে তান্ডব চালাচ্ছে। যাকে তাতে মারপিট করছে। প্রশাসনিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে তারা আবারও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটিয়ে বিশৃংখলাসহ হতাহতের সৃষ্টি করবে।
এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ওসি (তদন্ত) সোহেব খান বলেন, দলীয় কার্যালয়ের ভাংচুরের ঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরবিসি/ ১৮ ডিসেম্বর/ রোজি