স্টাফ রিপোর্টার : দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে রাজশাহীতে প্রার্থীদের আচরণবিধি ভঙ্গের হিড়িক পড়েছে। আচরণবিধি রপ্ত না করেই ভোটের মাঠে যে যেমন পারছেন তেমনই আচরণ করছেন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন আসনের বেশ কয়েকজন এমপি প্রার্থী কারণ দর্শাণোর নোটিশ পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের মনোনীতরা সবচেয়ে বেশী আচরণ বিধি ভাঙছেন।
সর্বশেষ গত সোমবার জেলা নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির রাজশাহী-৪ (বাগমারা) দায়িত্বশীল কর্মকর্তার পক্ষে সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএফএম আবু সুফিয়ান বলেন, এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের পক্ষ থেকে রাজশাহীর যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইলেকশন ইনকোয়ারী কমিটি বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছিলেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। আজকের (০৫.১২.২৩) মধ্যেই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ গত ১ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় দেয়া বক্তব্যে বলেন, এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপিকে ১৮ ডিসেম্বরের পর বাগমারায় ঢুকতে দেয়া হবে না। তার চেহারা পরিবর্তন করে দেওয়া হবে। তার কর্মীদেরও নানাভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়। এ ভিডিওটি ভাইরালও হয়েছে।
এর একদিন পর ২ ডিসেম্বর গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার আরেকটি মতবিনিময় সভায় বলেন, ১৮ ডিসেম্বরের পর ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপিকে গোয়ালকান্দি ইউনিয়নে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। তাদের দেয়া এ সকল বক্তব্য এরই মধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বহিঃবিশে^র পাশাপাশি সারা দেশে গ্রহণ যোগ্য করতে কাজ করে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সেখানে এমন ভীতিকর বক্তব্য এবং হুমকি সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে মরে করা হচ্ছে।
এর আগে বিধি ভেঙ্গে শোকজড হয়েছেন রাজশাহী-১ (তানোর- গোদাগাড়ী) এমপি প্রার্থী এনামুল হক, রাজশাহী সদর আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহামাম্মদ আলী কামাল ও বর্তমান এমপি বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।
আরবিসি/ ০৫ ডিসেম্বর/ রোজি