• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে আইটেক দিবস উদযাপন

Reporter Name / ২৩৮ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনের উদ্যোগে কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা (আইটেক) দিবস উদযাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর একটি হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র দাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড.বিধান চন্দ্র দাস বলেন, ‘ভারত আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। আমি জেনে সন্তুষ্ট যে ৫০০০-এর বেশি পেশাজীবী, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সরকারি কর্মচারী ভারতে প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়েছেন এতে তাদের নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে।’

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে খুবই চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়া সমতা, বিশ্বাস ও সার্বভৌমত্ত্বের সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে।’
সরকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্র। একই সঙ্গে ভারতের উন্নয়ন সহযোগী। দুই দেশের মধ্যে ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐহিত্যের পাস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশ আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে দু’দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করেছে।’
মনোজ কুমার এ সময় উল্লেখ করেন, সুবর্ণজয়ন্তী স্কলারশিপের অধীনে প্রতি বছর বাংলাদেশ আইটিইসি-এর জন্য ৫০০টি ‘ডেডিকেটেড স্লট’ পায়। সেইসঙ্গে, বেসামরিক কর্মচারী এবং বেসরকারি উদ্যোগের জন্য বেশ কিছু টেইলর-মেড প্রোগ্রাম রয়েছে যা বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজন অনুসারে হচ্ছে।

আইটেক-২০২৩ দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথিদের পাশাপাশি আইটেক অ্যালামনাই উপস্থিত ছিলেন। অ্যালামনাইদের মধ্যে কয়েকজন ভারতে তাদের প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেন। পরে সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

১৯৬৪ সালে ভারতীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা কৌশল কাঠামোর আওতায় ভারতের উন্নয়ন সহযোগিতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আইটেক কর্মসূচি প্রচলিত হয়। এর মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ভারতের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা এবং যথাযথ প্রযুক্তিগত সুবিধা প্রদান করা হয়। প্রতিবছর হিসাব, নিরীক্ষা, ব্যবস্থাপনা, এসএমই, গ্রামীণ উন্নয়ন ও সংসদীয় বিষয়াবলীর মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ কোর্সের জন্য প্রশিক্ষণ পর্বের আয়োজন করা হয়।

আরবিসি/২৮ নভেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category