• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৮ অপরাহ্ন

ড. তাহের হত্যায় ফাঁসির আসামিদের সঙ্গে শেষ দেখা করলেন পরিবারের সদস্যরা

Reporter Name / ১৫৭ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারকে সাক্ষাতের জন্য ডেকেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলমের পিতা আজিমুদ্দিনসহ পরিবারের প্রায় ৩৫ জন সদস্য আজ মঙ্গলবার দুপুর একটায় জাহাঙ্গীরের সাথে শেষ দেখা করেছেন। তবে মহিউদ্দিনের পরিবার আসনেনি।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে জাহাঙ্গীরের বড় ভাই মিজানুর রহমান বলেন, গত রবিবার কারা কর্তৃপক্ষ তাদের চিঠি দিয়ে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে শেষ দেখা করতে বলেছিল। তবে আপিল বিভাগে রিট পিটিশন পেন্ডিং থাকায় সেদিন তারা দেখা করেননি। মঙ্গলবার সকালে আপিল বিভাগ রিট খারিজ করে দেওয়ায় তারা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে দেখা করেছেন।
এদিকে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা কারাগারে তার সাথে কখন দেখা করতে আসবেন, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) কামাল হোসেন জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির ফাসি কার্যকর করার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি এরই মধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। কারাবিধি অনুযায়ী মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) থেকে আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যেই যে কোন সময় আদালতের দেওয়া দুই আসামির ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে।

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাসা থেকে নিখোঁজ হন ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ। ৩ ফেব্রুয়ারি বাসার পেছনের ম্যানহোল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভী আহমেদ ওইদিন নগরীর মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।

এরপর ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন। পরে দণ্ডপ্রাপ্তরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিল বিভাগ মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের রায় বহাল রাখলেও আসামি নাজমুল আলম ও তাঁর স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালামের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দেন। তবে আপিলে সাজা কমে যাবজ্জীবন হওয়া দুই আসামির দণ্ড বৃদ্ধি চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায়ই বহাল রাখেন। ইতোমধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির প্রাণভিক্ষার আবেদনও নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি।

আরবিসি/২৫ জুলাই/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category