• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৭ অপরাহ্ন

পরাজয়ের ভয়ে নির্বাচনে অংশ নেয় না বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name / ১১২ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩

আরবিসি ডেস্ক : পরাজয়ের ভয়ে বিএনপি-জামায়াত চক্র নির্বাচনে অংশ নেয় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার রাতে টোকিওতে আয়োজিত জাপানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে? কারণ তারা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে এবং জনগণের কোনো উন্নয়ন চায় না এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যে তারা নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কা করে। অনেকে বলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই এবং বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় না। বিএনপি কোন মুখ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে, ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ২৯টি আসন পেয়েছিল এবং নির্বাচনের ন্যায্যতা সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়নি। তারা ২০টি দল, কিন্তু তারা মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল এবং পরে তারা উপনির্বাচনে আরও একটি আসন পেয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট পরাজয়ের ভয়ে ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন বয়কট করেছিল।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি-জামায়াত চক্র ৭০টি সরকারি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ করে ৫০০ জনকে হত্যা এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করেছিল। মানুষের যদি মানবিক গুণ থাকে, তাহলে তারা কখনোই মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করতে পারে না। যারা এমন নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা কোন মুখে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিলেন যে, তারা ক্ষমতায় আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছেন কারণ যারা ক্লিনিক থেকে স্বাস্থ্যসেবা নেবেন তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে।

যারা বলতে চায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই তাদের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা মনে বাংলাদেশে কেবল তখনই গণতন্ত্র ছিল যখন দেশে স্বৈরাচার, ভোট কারচুপি এবং হ্যাঁ বা না ভোট দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা হয়েছিল।

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র নানাভাবে নির্বাচন নিয়ে কারসাজি শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ শাসনামলে সকল উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি হিসেবে দীর্ঘতম মেয়াদ পার করে বাংলাদেশে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে বিদায় নিয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন কোনো রাষ্ট্রপতি নেই যিনি এত বেশি সময় ক্ষমতায় ছিলেন এবং স্বাভাবিকভাবে বিদায় নিয়েছেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই এটা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে কিছু লোক আছে যারা দেশে গণতন্ত্র দেখে না এবং যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে এবং মানুষ হত্যার পর লাশ গুম করে তাদের পক্ষ নিচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর দুই খুনি এখন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় অবস্থান করছে। খুনিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য দুই দেশের সরকারের কাছে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু, তারা অনুরোধে কর্ণপাত করে না। খুনিদের (বঙ্গবন্ধুর) নিজ দেশে আশ্রয় দিয়ে তারা বাংলাদেশে মানবতা খুঁজে।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পদক্ষেপ নিয়েছে। সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যাদের আগ্রহ আছে তারা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ।

আরবিসি/২৭ এপ্রিল/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category