স্টাফ রিপোর্টার : রসালো ও সুমিষ্ট তরমুজের প্রতি টান কার না রয়েছে। বর্তমানে এই তাপদাহ ও দুর্বিসহ গরমে রোজাদারের কাছে এই রসালো তরমুজ যেন আর্শিবাদ। এবার তরমুজ দামে সস্তা হওয়ায় ইফতারিতে তরমুজের কদর বেড়েছে শতগুণ।
গত কয়েকদিনের ব্যবধানে হটাৎ করেই বেড়েছে প্রচণ্ড তাপদাহ। আকাশ থেকে যেন আগুন ঝরছে। এই তীব্র গরমে রোজাদারের অবস্থা যেন ওষ্ঠাগত। গরীব রোজাদাররা না পারছেন ভাল কিছু দিয়ে সেহরী খেতে আবার না পারছেন মানসম্পন্ন ইফতারি করতে। দ্রব্যমূল্যের এই উদ্ধৃগতির বাজারে সস্তায় তরমুজ খেতে পেয়ে বেজায় খুশি এই অঞ্চলের রোজাদার সহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
বর্তমানে উপজেলার ভবানীগঞ্জ, তাহেরপুর, হাটগাঙ্গোপাড়া, মচমইল, মোহনগঞ্জ সহ এলাকার বিভিন্ন হাট বাজারে বিশ থেকে পঁচিশ টাকা কেজি দরে বড় বড় সাইজের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে।
ভবানীগঞ্জ বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী আয়নাল জানান, তারা নাটোর ও রাজশাহী বড় বড় পাইকারদের আড়ৎ থেকে তরমুজ সংগ্রহ করে আনেন। তারা পনের থেকে বিশ টাকা কেজি দরে ওই সব আড়ৎ থেকে তরমুজ সংগ্রহ করে এনে স্থানীয় বাজারে অল্প লাভে তা বিক্রি করে থাকেন।
তার মতে, ওই সমস্ত আড়ৎদার সহ স্থানীয় কিছু বড় ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা বরিশাল ও পিরোজপুরের মোকাম থেকে সরাসরি তরমুজ ক্রয় করে থাকেন। এতে তাদের লাভও অনেক বেশি হয়। বর্তমানে ওই সমস্ত মোকামে দশ থেকে পনের টাকা কেজি দরে বড় বড় সাইজের তরমুজ পাওয়া যায়। এদিকে সস্তায় তরমুজ খেতে পেয়ে রোজাদার সহ স্বল্প আয়ের লোকজন বেজায় খুশি।
ভবানীগঞ্জ উপজেলা সদর জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাও. আব্দুস সোবহান জানান, তার পরিবারের সবাই তরমুজ পছন্দ করেন। এবার তরমুজ দামেও সস্তা হওয়ায় তিনি প্রায় প্রতিদিন একটি করে তরমুজ কিনে নিয়ে যান।
চাঁনপাড়া মহল্লার সাবেক পুলিশ সদস্য বেলাল হোসেন জানান সস্তায় তরমুজ কেনার কথা। তিনি বলেন, এবারের মত বড় বড় তরমুজ এত সস্তায় আগে কখনও পাওয়া যায়নি।
তার মতে, তরমুজ গুলো অনেক দূরে থেকে আসায় এবং প্রচণ্ড রোদে ফেলে রাখার কারণে অনেক সময় এর স্বাদ কমে যায়। তাই তিনি এগুলো যত্ন সহকারে পরিবহন ও সংরক্ষণের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানান।
আরবিসি/০৭ এপ্রিল/ রোজি