স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাঘায় রবিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৃষ্টির শেষ প্রান্তে এসে বয়ে গেছে চৈত্রের ঝড়। এ ঝড়ে লন্ড-ভন্ড হয়েছে তেঁথুলিয়া বাজারের ৬টি দোকান। একই সাথে তিনিটি গ্রামের মানুষের বাড়ি ঘর সহ ফসল এবং আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, রবিবার দুপুরের পর থেকে বাঘা উপজেলায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও হালকা বাতাস শুরু হয়। এ সময় বন্ধ হয়ে যাই বিদ্যুৎ সংযোগ। প্রায় এক ঘণ্টা ব্যাপী চলে এই বৃষ্টি। অতপর বাউসা ইউনিয়নের তেঁথুলিয়া বাজার এলাকা সহ হরিনা ও ফতিরদাড় এলাকায় বৃষ্টির শেষ প্রান্তে এসে শুরু হয় ব্যাপক ঝড়।
মাত্র ১৫ মিনিটের ঝড়ে তেঁথুলিয়া বাজারের (কাঠ) মিল মালিক লেদু এবং সুজনের ঘরের টিন উড়ে যাই। একই সাথে ঐ বাজারের ফার্নিচার ব্যবসায়ী শান্টু, মুদি ব্যবসায়ী মদন ও রনির দোকানের চালা লন্ড-ভন্ড হয়ে যায়।
অপর দিকে পাশ্ববর্তী এলাকার মফিজুলের বাড়ির টিন, বিপুলের বাড়ির টিন এবং দুলাল হোসেনের অনেক বড় একটি মেহগনি ও কাবলির আম গাছ সহ প্রায় এক কিলো মিটার এলাকার মধ্যে অবস্থিত হরিনা ও ফতিরদাড় এলাকার মানুষের জমির গম, কলাগাছ এবং শত-শত বিঘা জমির আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
তেঁথুলিয়া বাজার বনিক সমিতির সভাপতি জোনাব আলী জানান, রবিবার বিকেল সোয়া ৫ টার সময় মাত্র ১৫ মিনিটের ঝড়ে এ বাজার সহ পার্শ্ববর্তী প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা ব্যাপী অনেক মানুষের গাছ পালা ও বাড়ি ঘর সহ ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনার পরপর ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রাজশাহী জেলা আ’লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লায়েব উদ্দিন লাভলু। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের স্বান্তনা দিয়ে বলেন, এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এ ক্ষতি অপরনীয়। তবে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। আমরা সরকারি ভাবে যতটা সম্ভব আপনাদের সহায়তা দেয়ার চেষ্টা করবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার বলেন, লোকমুখে ঘুর্ণিঝড়ের খবর পেয়েছি। সোমবার সকালে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করবো। এরপর ক্ষতির অবস্থান বুঝে কেউ সহায়তা চাইলে তাদের বিষয়ে সরকারি ভাবে অনুদানের ব্যবস্থা করা হবে।
আরবিসি/০২ এপ্রিল/ রোজি