স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদসহ ৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা করেছে পুলিশ। এই মামলায় গ্রেফতার ৭ জনকে রবিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, পুলিশের কাজে বাধা, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি এবং নাশকতার অভিযোগে শনিবার রাতে নগরীর বোয়ালিয়া থানার এক এসআই বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, পবা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর হোসেন, চারঘাট লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মৃধা, শলুয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক এমদাদুল হক, বাঘার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল, যুবদলের নেতা বাঘা উপজেলার হরিরামপুর এলাকার স্বপন, একই উপজেলার রামরামা গ্রামের মনির মন্ডল এবং গোদাগাড়ী উপজেলার ছাত্রদলের সদস্য আমিনুল ইসলাম। এদের মধ্যে সাতজনকে শনিবার বিকালে আটক করা হয়। পরে রাতে দায়ের করা মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
রাজশাহী জেলা বিএনপি গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, ‘শনিবার কেন্দ্র ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিতে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সাগরপাড়া থেকে গণকপাড়া পর্যন্ত যান। এ সময় পুলিশ তাদের মিছিলে অতর্কিত লাঠিচার্জ করে। মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া আবু সাঈদ চাঁদসহ ৭ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে আবার তাদের বিরুদ্ধেই পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করেছে।’
রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হোসেন মো. সোহরাওয়ার্দী বলেন, ‘৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় গ্রেফতার ৭ জনকে রবিবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে বাঘার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল পলাতক রয়েছেন। তাকে ধরতে কাজ করা হচ্ছে।’
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. রফিকুল আলম বলেন, ‘বিএনপিকে তাদের দলীয় কর্মসূচি পালনের জন্য নগরীর ভুবনমোহন পার্কে অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে তাদের একটি অংশ অবৈধভাবে নগরীর বাটার মোড়ে সববেত হয়ে কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করে। তাদেরকে নিষেধ করা হলেও তারা শোনেনি। বরং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়াসহ নাশকতা ও জনদুর্ভোগের চেষ্টা চলায় তারা। এই ঘটনায় বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীদের নামে পুলিশ মামলা করেছে।’
আরবিসি/০২ এপ্রিল/ রোজি