স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় সংসদের এলডি ভবনে অনুষ্ঠিত হলো ঢাকাস্থ রাজশাহীর ‘বাগমারা উপজেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি’র ইফতার মাহফিল। রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের উদ্যোগে এবং সমিতির সার্বিক সহায়তায় আজ শুক্রবার বিকেলে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
সমিতির সভাপতি শাকিল আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রিফাত হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।
এ সময় এমপি বলেন, এক সময়ের রক্তাক্ত এবং সর্বহারা বাগমারা নামে খ্যাত এই বাগমারাই এখন বাংলাদেশে শান্তির বাগমারা নামে পরিচিত। এখন আর বাগমারা নাম শুনলে আতঙ্কিত হতে হয় না। সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমত এবং আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নে বাগমারার ভয়ংকর রূপ পাল্টে গেছে। বাগমারা উপজেলা এখন গৌরবের নাম।
এমপি আরও বলেন, তোমরা যারা বাগমারার সন্তান এই ঢাকা শহরে অবস্থান করছো, সবাই ভালো মানুষ হয়ে বৈধভাবে বাগমারা ও দেশের উন্নয়নে হৃদয় দিয়ে কাজ করবে এটাই তোমাদের কাছে আমার প্রত্যাশা। বাগমারার স্বনাম যাতে আরও ত্বরান্বিত হয় সে জন্য কাজ করবে। নিজেকে ভালোবাসতে হবে। কারণ, ভালোবাসা ও ইচ্ছাশক্তিই পারে নিজেকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে যেতে। তোমরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। আমি বিশ্বাস করি, তোমাদের মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে আগামীতে ভালো কিছু করবে এবং বিশ্বে দেশের স্বনাম বৃদ্ধিতে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রাখবে।
আমি এমপি থাকি বা না থাকি সব সময় তোমাদের পাশে থাকবো। যে কোন প্রয়োজনে তোমাদের অবিভাবকের মত সহযোগিতা করবো। আমি কথা দিচ্ছি, আমি যতদিন বাঁচবো, তোমাদের বিপদ-আপদে এবং ভালো কাজে সকল প্রকার সহায়তা আমি করবো ইনশাআল্লাহ।
সমিতির সদস্যসহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা নিজ শহর রাজশাহী এবং পরিবার থেকে দূরে ঢাকা শহরে শিক্ষাসহ কর্মসংস্থানের জন্য বছরের পর বছর অবস্থান করি। আমাদের বিপদ-আপদে ও বিভিন্ন কাজে এমপি স্যারের সহযোগিতা পাই সব সময়। এরকম একজন মহান মানুষকে অবিভাবক হিসেবে পেয়েছি। এজন্য আমাদের পরিবারও আমাদের নিয়ে দুঃশ্চিন্তা মুক্ত থাকেন। সব সময় এমপি স্যারকে পাশে পেয়ে আমরা সত্যিই আনন্দিত এবং কৃতজ্ঞ। আশা করছি ভবিষ্যতেও এভাবেই সব সময় আমরা ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি স্যারকে পাশে পাব।
এ ইফতার মাহফিলে ‘বাগমারা উপজেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি’র সদস্যবৃন্দ ছাড়াও ড. মোসলে উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার এরশাদ, ডাক্তার সবুজ, নাহিদ হোসেন, হারুন-অর-রশিদ, হোসেন আলী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
আরবিসি /৩১ মার্চ / রোজি