স্টাফ রিপোর্টার : বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া রিকশা চালক জাহিদুল ইসলামের ছেলে অদম্য মেধাবী চান মিঞার মেডিক্যালে ভর্তি ও পড়াশোনার খরচসহ সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
রাজশাহী মহানগরীর ধরমপুর এলাকার বাসিন্দা রিকশা চালক জাহিদুল ইসলামের ছেলে চান মিঞা। হতদরিদ্র পরিবারের চান মিঞা বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। তবে চান্স পেলেও অর্থের অভাবে ভর্তি হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে সে। বিষয়টি রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নজরে আসে। তাৎক্ষণিক রাসিক মেয়র তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটুকে মেধাবী শিক্ষার্থী চান মিঞার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন।
মেয়রের নির্দেশে বৃহস্পতিবার রাতে চান মিঞার বাড়িতে যান রাসিক মেয়র। এসময় ব্যক্তিগত উদ্যোগে অদম্য মেধাবী চান মিঞার মেডিক্যালে ভর্তি ও পড়াশোনাসহ সকল খরচ ব্যয় করবেন বলে জানান। এরপরই হাসি ফোটে মেধাবী চান মিঞা ও তার রিকশা চালক বাবা জাহিদুল ইসলামসহ পরিবারের সদস্যদের মুখে। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে নগরপিতাকে পাশে পেয়ে কৃতজ্ঞ চান মিঞার পরিবার।
চান মিঞার পিতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য লাগবে ২৫ হাজার টাকা। ভর্তির পর বইসহ আনুসাঙ্গিক খরচে প্রয়োজন আরো এক লাখ টাকা। রিকশা চালিয়ে আমার পক্ষে ছেলের ভর্তির জন্য এতোগুলো টাকা জোগার করা কখনোই সম্ভব না। ছেলে মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পর তাকে ভর্তি করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ি। এই দুঃসময়ে কাউকে পাশে পাচ্ছিলাম না। ঠিক সেই মুহুর্তে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আমরা মেয়র লিটনের প্রতি কৃতজ্ঞ।
চান মিঞার মাতা শিরিনা বেগম বলেন, মেয়র সাহেব যদি আমার সন্তানের পাশে না এসে দাঁড়াতেন তাহলে হয়তো ছেলেকে পড়ালেখা করানো সম্ভব হতো না। মেধাবী চান মিঞা বলেন, অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করে মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। মেডিক্যাল চান্স পাওয়ার পর আমি ও আমার পরিবার অনেক খুঁশি হই। কিন্তু ভর্তি ও পড়ালেখার খরচের অর্থ সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়ি। এ অবস্থায় মেয়র স্যার আমার ভর্তিসহ পড়ালেখার খরচের দায়িত্ব নিয়েছেন। আমি ও আমার পরিবার দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়েছি। প্রসঙ্গত, চান মিঞা ২০১৯ সালে রাজশাহীর ডাঁশমারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসতিতে জিপিএ-৫ এবং ২০২১ শহীদ বুদ্ধিজীবী কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
আরবিসি/১৭ মার্চ/ রোজি