আরবিসি ডেস্ক : নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুই সন্তানসহ মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত মায়ের নাম সোমা আক্তার (৩০), নিহত দুই সন্তানের মধ্যে মেয়ের নাম অনিয়া আক্তার (১০) ও ছেলে অমর বকস (৪)। অগ্নিকাণ্ডে স্বামী অলি বকস (৩৫) ও প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন (৩৫)কে অগ্নিদগ্ধ মুমূর্ষু অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার খাকসা উত্তরপাড়া গ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুন গোটা ঘরে ছড়িয়ে পড়লে এই মর্মান্তিক হতাহতের ঘটনা ঘটে। গৃহকর্তা অলি বকস পেশায় একজন বাস চালক ও মেয়ে অনিয়া স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীতে লেখাপড়া করতো।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোমিন আলী জানান, গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ ছিদ্র ছিল। বিষয়টি বুঝে ওঠার আগেই গৃহবধূ সোমা রান্নার জন্য আগুন জালাতে গেলে সেই আগুন দ্রুত চারেদিক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে পুরো ঘর আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। শবে বরাতের রাত হওয়ায় ওই গ্রামের অধিকাংশ পুরুষেরা মসজিদে নামাজ আদায় করছিলো। যার ফলে আগুন লাগলেও তাৎক্ষণিক তা নেভানোর জন্য লোকজন পাওয়া যায়নি এবং এর ফলে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে এই প্রাণহানি ও ক্ষতি সাধিত হয়। অগ্নিকাণ্ডে তাদের টিনসেড ও টিনের বেড়ার বসতবাড়ির ৩টি ঘরসহ সকল কিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে নাটোর ও বনপাড়া ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট এসে আগুন সম্পূর্ণ নেভায়।
সংবাদ পেয়ে ওই রাতেই জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারিয়াম খাতুন, থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক ঘটনাস্থলে আসেন ও সকল বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। এ সময় মৃতদেহ দাফনের জন্য জেলা প্রশাসক নগদ ২০ হাজার টাকা স্বজনদের হাতে তুলে দেন। এছাড়া ঘর তৈরিসহ অন্যান্য সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই অগ্নিকান্ডে তিনজন নিহত ও একজন আহত হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরবিসি/০৮ মার্চ/ রোজি