স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী নগরীর উপশহর মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের পুরোনো শিক্ষিকাকে বাদ দিয়ে পরে যোগদান করা অপর শিক্ষিকাকে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দুপুরে কলেজটির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নে এবিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে করে অভিযোগ তুলে ধরেন নাসরিন সুলতানা।
লিখিত বক্তব্যে নাসরিন সুলতানা দাবি করেন, কলেজ কমিটির দেয়া যোগদানের চিঠির প্রেক্ষিতে তিনি রাষ্ট্রাবিজ্ঞান বিভাগে যোগদান করেন ২০০০ সালের ৮ এপ্রিল। এরপর ২০০০ সালের ৯ এপ্রিল একই বিভাগে যোগদান করেন অপর শিক্ষিকা শাফিয়াজ আখতার বানু। ১৯৯৯ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর এমপিওভুক্ত হলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে দুই জনের পরিবর্তে একজন শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। এক্ষেতে যিনি আগে নিয়োগপ্রাপ্ত তাকেই রাখা হবে। এমন অবস্থায় পরে যোগদান করা শাফিয়াজ বানুর পক্ষে কলেজ কর্তৃপক্ষ অবস্থান নেয়।
তার যোগদানে তারিখ ৯ এপ্রিলের পরিবর্তে কারচুপির আশ্রয় নিয়ে ৫ ডিসেম্বর ১৯৯৯ দেখায় কলেজ কর্তৃপক্ষ। এবিষয়ে নাসরিন সুলতানা ২০১২ সালে নিম্ন আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশনা প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। বোর্ডের পর্যবেক্ষণ মোতাবেক উপশহর মহিলা কলেজের ১৪ জন প্রভাষকের নাম উল্লেখ থাকলেও ১৩ জন প্রভাষকের নিয়োগ ও যোগদান পত্র রয়েছে। ওই ১৩ জনের মধ্যে নাসরিন সুলতানার নিয়োগ ও যোগদানপত্র রয়েছে। তবে শাফিরাজ আখতার বানুর যোগদান পত্র রক্ষিত নথিতে পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার মহাপরিচালককে অবহিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এই কমিটি। এই নিষ্পত্তি সভার কার্যবিবরণীতে ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর স্বাক্ষর করেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও কমিটির সভাপতি প্রফেসর মো. হবিবুর রহমান এবং কলেজ পরিদর্শক ও কমিটির সদস্য সচিব জিয়াউল হক। এবিষয়ে কথা বলতে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও কলেজ পরিদর্শক জিয়াউল হকের নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
উপশহর মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের কাছে থাকা কাগজপত্রে কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রথম শিক্ষিকা শাফিয়াজ আখতার বানু। তবে বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা করেছেন অপর শিক্ষিকা নাসরিন সুলতানা। আদালত রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডকে তদন্তের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। শিক্ষাবোর্ডের তদন্তে নাসরিন সুলতানাকে প্রথম শিক্ষিকা হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে সকল সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালত যে রায় দিবেন আমরা সেই অনুসারেই কাজ করবো।
আরবিসি/০৬ মার্চ/ রোজি