আরবিসি ডেস্ক: ঢাকার তেজগাঁওয়ে একটি খুনের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানিয়েছে, একবছর ধরে জেল খেটে কয়েকদিন আগে জামিনে মুক্ত হয়েই ১২টি মোবাইল ফোন ছিনতাই করেছে তারা।
আর ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইলের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ‘দ্বন্দ্ব’ ও ‘পূর্বশত্রুতার’ জেরে তিনজন মিলে তাদের এক বন্ধুকে খুন করেছেন বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক জানান। শনিবার রাতে মো. সাদ্দাম হোসেন সাব্বির (২৩), মো. রনি (২৬) ও মো. বিজয়কে (৩৪) ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজার ও তেজগাঁও মোল্লাবাড়ি বস্তি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আজিমুল হক বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। এই তিনজনই ছিনতাইকারী এবং মাদকসেবী। অস্ত্র, মাদকসহ নানা অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় মোট ৩৭টি মামলার তথ্য পেয়েছে পুলিশ।” গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাকু এবং ছিনিয়ে নেওয়া ১০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে উপ-কমিশনার আজিমুল হক বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে তেজগাঁও গ্রিন রোডে ২৫ বছর বয়সী যুবক ফারুক হোসেনকে ছুরি মেরে খুন করা হয়। সেই হত্যাকাণ্ডে সাব্বির রনি ও বিজয় ‘জড়িত’। নিহত ফারুক ওই চক্রের সদস্য ছিলেন কি না জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “ফারুক তাদের বন্ধু এবং পূর্বশত্রুতার জের ধরেই তাকে খুন করা হয়। ফারুকের নামেও দুটি মামলা আছে।“
আজিমুল হক জানান, সাব্বির, রনি ও বিজয় অন্য মামলায় একবছর ধরে কারাগারে ছিলেন। চারদিন আগে তিনজন জামিনে মুক্ত হন। “তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন যে গত চারদিনে বনানী ও তেজগাঁও এলাকায় ১২টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন তারা ছিনতাই করেছেন। আর ওই সব ফোনের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ঝামেলা বাঁধলে খুনের ঘটনা ঘটে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাদ্দাম হোসেন সাব্বিরের নামে তেজগাঁও ও হাতিরঝিল থানায় অস্ত্র, দস্যুতা, মাদক ও দস্যুতার চেষ্টার অপরাধে ৭টি মামলা রয়েছে। আর রনির নামে অস্ত্র, মাদক, দস্যুতা ও ডাকাতির চেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৩টি মামলা আছে তেজগাঁও ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায়; বিজয়ের বিরুদ্ধে তেজগাঁও ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় ১৪টি মাদকসহ ১৭টি মামলা রয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরও একজন পলাতক রয়েছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা আজিমুল হক বলেন, তাকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরবিসি/২৬ ফেব্রুয়ারি/ রোজি