স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী বিভাগে এ বছর মোট ১ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এখন পর্যন্ত মিলারদের সঙ্গে ৮৫ হাজার টন কেনার চুক্তি হয়েছে। সোমবার রাজশাহী বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিন দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ্র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিভাগের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানরা তাদের নিজ নিজ দপ্তরের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
খাদ্য সংগ্রহের পরিমাণ ও গুণগতমান সন্তোষজনক উল্লেখ করে রাজশাহী খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ বছর ১ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এখন পর্যন্ত মিলারদের সঙ্গে ৮৫ হাজার মেট্রিক টন চাল কেনার চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। আর তার মধ্যে ৭৫ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকি ১৫ হাজার মেট্রিকটন চালও শিগগিরই সংগ্রহ করা সম্ভব হবে বলেও জানানো হয় সভায়।
এ সময় রাজশাহী স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. হাবিবুল হাসান তালুকদার জানান, সারা দেশের মতো বর্তমানে রাজশাহী বিভাগেও করোনার চতুর্থ ডোজ চলমান রয়েছে। তবে নিপা ভাইরাসে এক নারী ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তিনি নিপা ভাইরাস থেকে বাঁচতে খেজুরের রস না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শীতকালীন ফসল উৎপাদনে এ বছর রাজশাহী বিভাগে তিন লাকের বেশি কৃষককে বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। সরিষার উৎপাদন ৫০ শতাংশ বেশি হওয়ায় ভোজ্যতেলের চাহিদার কিছু অংশ স্থানীয়ভাবে পূরণ সম্ভব হবে বলে সভায় রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষে আশা প্রকাশ করা হয়।
এদিকে,নির্মাণসামগ্রীর মূল্য বাড়লেও উন্নয়ন কাজ অব্যাহত আছে মর্মে এলজিইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
সভায় ঢাকার গুলশানের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিয়ে নকশা অনুযায়ী যারা বিল্ডিং করবে না তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়। এ সময় অন্যান্য দপ্তরের প্রধানরা নিজ নিজ দপ্তরের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরেন।
২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়গুলোর মধ্যে রাজশাহী সারাদেশে প্রথম হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহকে সবার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান।
সভাপতির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নের সাফল্য বিভাগের সব দপ্তরের। তিনি প্রতি সপ্তাহে অগ্নিনির্বাপণ বিষয়ক একটি করে মহড়া পরিচালনা এবং সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে বাসা ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে ও অগ্নিকাণ্ডের সময় করণীয় সম্পর্কে সচেতন করতে ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানান।
আরবিসি/২০ ফেব্রুয়ারি/ রোজি