স্টাফ রিপোর্টার : সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজশাহীর চারঘাটে পদ্মা নদীতে অবাথেধ চলছে জাটকা নিধন। স্থানীয় প্রশাসন মাঝে মাঝে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করলেও বন্ধ হচ্ছে না জাটকা ধরার মহোৎসব। রাতের বেলা জাটকা ধরে দিনের বেলায় বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যেই।
নদী তীরবর্তি এলাকার জেলেরা বেপরোয়াভাবে জাটকা ধরার প্রতিযোগীতা শুরু করেছে। তবে স্থানীয় মৎস্য অফিসের দাবি লোকবল সংকটের কারনে সব সময় অভিযান পরিচালনা করা যাচ্ছে না।
উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানা যায়, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে নদীতে জাটকা ধরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আগামী জুন পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা চলবে। ওই সময়ের মধ্যে জাটকা ধরা, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় বা মজুদ করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে এসবের তোয়াক্কা না করে স্থানীয় জেলেরা পদ্মায় জাটকা নিধন অব্যাহত রেখেছে। দিনে-রাতে সমান তালে চলছে এ কার্যক্রম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলে বলেন, সব জেলেই যে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা নিধন কার্য্যক্রমের সঙ্গে জড়িত এমনটা নয়। কিছু কিছু অতি লোভি জেলেরা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাতের আধারে চালাচ্ছে জাটকা নিধন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযানের খবর পেয়ে অনেক সময় অনেক জেলেই নৌকা ও জাল নিয়ে পালিয়ে যায়। এতে প্রশাসনের অভিযান লোক দেখানো অভিযানে পরিনত হয়।
চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর থেকে উজেলার রাওথা পর্যন্ত এবং বাঘা উপজেলার আলাইপুর পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা জুড়েই চলছে এমন অবৈধ কর্মযজ্ঞ। আগামী মৌসুমে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে এখনই জাটকা নিধন বন্ধে কার্যক্রর ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
রাজশাহীর পদ্মায় জাটকা নিধনের কথা শিকার করে চারঘাট উপজেলা মৎস্য কর্মকতা ওয়ালিউল্লাহ মোল্লা বলেন, অভিযান বা নজরদারি নেই এমনটা নয়। লোকবল সংকটের কারনে এক শ্রেণীর অতিলোভী জেলেরা এমন অবৈধ কাজ করার সাহস পাচ্ছে। তারপরেও মৎস্য অধিদফতর নৌ পুলিশের সহযোগীতায় অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এদিকে রাজশাহী নগরী, জেলার গোদাগাড়ী ও বাঘা এলাকাতেও সমানে জাটকা নিধন চলছে বলে জানা গেছে।
আরবিসি/১৮ ফেব্রুয়ারি/ রোজি