আরবিসি ডেস্ক: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিদেশিদের কোনো ‘নির্দেশনা’ আওয়ামী লীগ অনুসরণ করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ চায় সুষ্ঠু নির্বাচন, আর তা নিশ্চিত করতে যা যা দরকার, তাই করবে সরকার।
বৃহস্পতিবার গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাতটি দেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক। ওই বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচন নির্বাচনের গতিতেই হবে। আগামী নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য ও সুষ্ঠু হবে, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
“নির্বাচনকেন্দ্রিক বিদেশিদের কোনো নির্দেশনা আওয়ামী লীগ অনুসরণ করবে না। আওয়ামী লীগ ত্রুটিমুক্ত, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। এজন্য বর্তমান সরকার যা যা করণীয় তাই করবে।” নির্বাচন এবং তাতে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে ইইউ কী বলেছে, তাও সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন এ আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরাও চায় বিএনপিসহ সকল দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং সুষ্ঠু-সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক।
নির্বাচন প্রসঙ্গ ছাড়াও রাজনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সাত দেশের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান কাদের। আগামী ডিসেম্বর মাসে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোট হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে আভাস পাওয়ার কথা কিছুদিন আগে জানিয়েছিলেন কাদের। এর পর ভোট আয়োজনের দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনের কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান জানান, যথাসময়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে, কমিশন সভা করেই ভোটের তারিখ জানাবে।
২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। সেই হিসাবে ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে ভোট হতে হবে। বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি বিদেশিদের সঙ্গে চুপিচুপি বৈঠক করে আর আওয়ামী লীগ জানান দিয়ে বৈঠক করে। যে দল রাষ্ট্রপতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন কমিশনের ডায়ালগ প্রত্যাখ্যান করে তারা ডেমোক্রেসি চায় না।
“বিএনপির মনের দিক থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না। তারা জানে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকার আবারও ক্ষমতায় আসবে। কাদেরের ভাষ্য, “হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না।
নির্বাচনকে ‘ভয় পায়’ বলে বিএনপি ‘সন্ত্রাস’ করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে, তারা (বিএনপি) আবারও ২০১৪-১৫ সালের মতো আগুন সন্ত্রাস করে দেশকে অস্থিতিশীল করে ক্ষমতায় যেতে চায়। নির্বাচনের ভয়ে দেশে আন্দোলন নামে স্থিতিশীল দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।
নির্বাচনের জন্য দেশে যেসব ‘পরিবর্তন’ হয়েছে, সেটা আওয়ামী লীগ সরকারের অবদানেই হয়েছে দাবি করে কাদের বলেন, “পঁচাত্তরের পর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই আইনের মাধ্যমে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
আরবিসি/১৬ ফেব্রুয়ারি/ রোজি