আরবিসি ডেস্ক : গত কয়েক দশকের ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক এবং সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ১৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ভূমিকম্পের দু’দিনের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও উভয় দেশে ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অসংখ্য মানুষ আটকে পড়ে আছেন। ধ্বংসাবশেষ আর আবর্জনার নিচে আটকে পড়া লোকজনকে জীবিত উদ্ধারের আশা সময়ের সাথে সাথে ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে।
এর মাঝে উদ্ধার তৎপরতায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে হিমাঙ্কের নিচে কিংবা তার কাছাকাছি পর্যায়ের তাপমাত্রা। এছাড়া দেশ দুটি গৃহহীন হয়ে পড়া লাখ লাখ মানুষও ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছেন। খোলা আকাশের নিচে তীব্র ঠান্ডায় অত্যন্ত মানবেতর সময় পার করছেন তারা। ঠান্ডা থেকে বাঁচতে ধ্বংসাবশেষ পুড়িয়ে শরীর গরমের চেষ্টা করছেন তারা।
তুরস্ক-সিরিয়ার সরকারি পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, উভয় দেশে ভূমিকম্পে প্রাণহানি বেড়ে ১৯ হাজার ৩০০ জনে দাঁড়িয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে ভূমিকম্পে মৃত্যুর হালনাগাদ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তুরস্কে ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ১৭০ জন মারা গেছেন।
সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা বলা হয়েছে, দেশটিতে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ১৬২ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে দেশটির বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ১ হাজার ৯৩০ জন মারা গেছেন। আর সরকার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে প্রাণ গেছে ১ হাজার ২৬২ জনের।
সিরিয়ায় ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন ৫ হাজার ১৫৮ জন। আহতদের মধ্যে সরকার-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের ২ হাজার ২৫৮ জন এবং বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের ২ হাজার ৯০০ জন বাসিন্দা রয়েছেন।
তুরস্কের সরকার, সিরিয়ার বিদ্রোহীগোষ্ঠী হোয়াইট হেলমেট ও সিরীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬৮ হাজার ৯৫২ জন।
আরবিসি/০৯ ফেব্রুয়ারি/ রোজি