স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দক্ষতার সঙ্গে দেশটা চালাচ্ছেন, তাতে আমরা সবাই যদি তাঁর কথা মেনে চলি, তাহলে আমাদের ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতে হতাশ হবার কিছু নেই।
আমরা আমাদের নিজেদের টাকায় বিশ্বের বিস্ময় পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পেরেছি। সেই পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যাওয়ার কী যে আনন্দ। কিছুদিন আগে মেট্রোরেলের উদ্বোধন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে মেট্রোরেলে দূরুত্ব বাড়ছে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। আগামী দুই/এক মাসের মধ্যে এই টানেলের উদ্বোধন হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর নিচ দিয়ে কোন টানেল নেই, যেটি বাংলাদেশে হয়ে গেছে। ঈশ^রদীর রূপপুরে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। এই রকম অসংখ্য দৃষ্টান্ত বাংলাদেশে একের পর এক হয়ে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে স্বয়ংসম্পন্ন করছেন।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২৩ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণের পাশাপাশি আব্দুল মতিন মেধাবৃত্তি, সতীর্থ ৭৪ বৃত্তি, আসফিয়া আজফার বৃত্তি, ফজলার রহমান মেমোরিয়াল বৃত্তি প্রদান করা হয়। রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ড. নুরজাহান বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সতীর্থ-৭৪ এর সভাপতি প্রকৌশলী একেএম খাদেমুল ইসলাম ফিকশন। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বর্তমান সরকার পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি হাতেকলমে শিক্ষা প্রদানে গুরত্বারোপ করেছে। পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হলে কাজের সুযোগ বেশি পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমরা অনেক ভালো আছি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে, ডলার সংকট ইত্যাদি। এসবের আঘাত বাংলাদেশেও পড়েছে, কিন্তু আমরা থেমে যায়নি। দুর্ভিক্ষ আসেনি, ইনশাল্লাহ দুর্ভিক্ষ আসবেও না।
অভিভাবকদের উদ্দেশে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সন্তানেরা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করবে, গোল্ডেন পাবে-এটি সব অভিভাবকরাই চান, এটি চাইতেন পারেন। তার মানে এই নয় যে ছেলে-মেয়েরা মাঠে যাবে না, খেলবে না, শারীরিক বিকাশটা হবে না। এটি হলে একদিকে তারা দুর্বল হয়ে যাবে। সুযোগ পেলেই আপনাদের সন্তানদের মাঠে ময়দানে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় কী মহাযজ্ঞ হচ্ছে, এসব ঘুরে দেখাতে হবে। এতে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটবে। আজকের এই শিক্ষার্থীরাই দেশকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
মেয়র আরো বলেন, আমি নিজেও রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র ছিলাম। আমার পিতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান এই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। এই স্কুলে আমার নানা স্মৃতি ছড়িয়ে রয়েছে। ১৮২৮ সালে এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রায় ২শ বছরের প্রাচীন এ স্কুলের কৃতি শিক্ষার্থীরা দেশ ও দেশের বাইরে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। এ বিদ্যাপীঠ থেকে পড়াশুনা শেষ করে শুধু ডাক্তার, ব্যারিস্টার ও ইঞ্জিনিয়ার নয়, এই স্কুলের ছাত্ররা আমেরিকার সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে এবং নাসা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দায়িত্ব পালন করছেন। এটি আমাদের সকলের জন্য গর্বের।
আরবিসি/০৭ ফেব্রুয়ারি/ রোজি