স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ও সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ এমন কোন দিক নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন করার মধ্যে দিয়ে সকল অন্যায় অবিচার আর নিপিড়নের হাত থেকে বাঙ্গালী জাতিকে মুক্ত করেছেন।
এক সময়ের রক্তাক্ত বাগমারায় এখন শান্তির সুবাতাস বইছে। বাগমারায় সকল উন্নয়ন হচ্ছে সমান গতিতে। সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনার মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় আগ্রহ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সেই সাথে জ্ঞান ভিত্তিক দক্ষ জাতি গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।
এসএসসি হলো শিক্ষা জীবনের প্রথম ধাপ। এই সাফল্য আগামীতেই ধরে রাখতে হবে। মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়া বাংলাদেশ এই দেশ যেন আর পথ না হারায় সেই চেতনা বুকে ধারণ করতে হবে এখন থেকেই।
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসারে আ’লীগ সরকার বিনামূল্যে পাঠ্য বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন বছরের প্রথম তারিখে। এর উদ্দেশ্য যাতে কোন শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ থেকে ঝড়ে না পড়ে। ব্যক্তি স্বার্থ ভুলে ত্যাগের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে দেশের সেবায় কাজ করতে হবে সবাইকে।
প্রায় দেড় যুগ ধরে বিভিন্ন পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করে লেখাপড়ায় আগ্রহ সৃষ্টি করায় সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। শিক্ষা একটি জাতিকে তার গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে সাহায্য করে। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না তাই লেখাপড়ার বিকল্প নেই। সেই সাথে প্রতিটি ব্যক্তির উপরে যে নাগরিক দায়িত্ব রয়েছে তা যথাযথ ভাবে পালন করতে হবে।
শনিবার সকালে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ নিউ মার্কেট মিলনায়তনে সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২০২২ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত উপজেলার ৮১৫ জন শিক্ষার্থীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
দীর্ঘ সময় ধরে সালেহা-ইমারত ফাউন্ডেশন বাগমারার কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়ে আসছে। বাগমারার সংসদ সদস্য ও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এলাকায় মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরী ও ভালো ফলাফলে প্রতিযোগিতা সৃষ্টির জন্য গত ২০০৬ সালে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাঁর এই প্রচেষ্টায় এলাকার কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুরু হয় প্রতিযোগিতা, বাড়তে থাকে কৃতি ও মেধাবীদের সংখ্যা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুলের পরিচালানয় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জাহেদুর রহিম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস.এম. মাহমুদ হাসান, করখন্ড মাদ্রাসার সভাপতি আল-মামুন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সৈয়দা গালিব মাহমুদ, ফারুক হোসেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ কুমার প্রতীক দাশ রানা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, মতিউর রহমান টুকু, আফতাব উদ্দীন আবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দীন সুরুজ, আসাদুজ্জামান আসাদ, দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবী, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কহিনুর বানু, সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম, কৃষকলীগের সভাপতি মহসিন আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাবু, যুব মহিলা লীগের সভাপতি প্রভাষক শাহিনুর খাতুন, যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম মীরসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে উপজেলার এসএসসিতে সেরা মচমইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, করখন্ড মাদ্রাসা এবং সাঁকোয়া উচ্চ বিদ্যালয় সংযুক্ত ভোকেশনাল এর প্রধানদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও চেক প্রদান করা হয়।
আরবিসি /০৪ ফেব্রুয়ারী / রোজি