স্টাফ রিপোর্টার : ভোটের রাজনীতি আর নেই। ১৫ বছর আগে যারা ভোটার হয়েছেন তারা আজও একটি ভোট দিতে পারেননি। আমিও ভোট দেওয়া ভুলে গেছি মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, সরকার বাংলাদেশকে লুটের আখড়া বানিয়েছে। টাকা কামানোর মেশিন বানিয়েছে বাংলাদেশকে। আর আমরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি। এ সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই।
রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। শনিবার বিকেলে রাজশাহীর সোনাদীঘির মোড়ে বিএনপি এ বিভাগীয় সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবিটা আওয়ামী-জামায়াতের উল্লেখ করে বলেন, বিএনপি সরকারের সময় আওয়ামী-জামায়াত ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে বারবার বলেছিলেন ‘এ মুহূর্তে দরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার’। আজকের প্রধানমন্ত্রী সে সময় পরিষ্কার ভাষায় বলেছিলেন, চিরদিনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকতে হবে। আজ ক্ষমতায় এসেই এ আওয়ামী লীগ সরকার একনায়কতন্ত্র কায়েম করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার উঠিয়ে দিলেন। আদালতের রায়ে বাংলাদেশের জনগণ সব সময় চলে না। আদালতের রায়ে রাজনীতি নির্ধারণ হয় না। রাজনীতি রাজনীতির মতোই চলবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংসদ থেকে পাস করে সংবিধানকে কাটাছেড়া করে সংবিধানের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের দাবিতে। আজকে গরিবের পেটে খাওয়া নেই, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, কথায় কথায় তেলের দাম বাড়িয়ে দেন, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দেন। কারণ আপনাদের তো ভোটের দরকার নেই। যদি ভোটের দরকার থাকতো তবে জনগণের চাওয়া কী তা তাকিয়ে দেখতেন। জনগণ কী ভাবছে তা আপনারা ভাবতেন। এমন কিছুই ভাবছেন না আপনারা। কারণ আপনারা জানেন বিকল্প পন্থায় ক্ষমতায় চলে আসবেন।
তিনি বলেন, আমরা যখন মিছিল করি, স্লোগান দেই তখন আওয়ামী লীগের বুকে কাঁপন ধরে। আমরা রাস্তায় হাঁটি, পদযাত্রা করি আর উনারা বলে এটা হলো বিএনপির মরণ যাত্রা। আমরা বলতে চাই। এটা হলো আওয়ামী লীগের অগ্রিম শবযাত্রা। যা সারা বাংলাদেশে শুরু হয়েছে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। দেখবেন রাজশাহী নয় সারা বাংলাদেশ বিএনপির ঘাঁটি হয়ে গেছে। আমরা কয়টা আসন পাবো জানি না। তবে জনগণ আওয়ামী লীগকে আর ভোট দেবে না।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও হাবিবুর রহমান।
আরবিসি/০৪ ফেব্রুয়ারি/ রোজি