স্টাফ রিপোর্টার : উপজেলার বড়বিহানালী ইউনিয়নের চার গ্রামের ১৪ কৃষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও প্রতারণামূলক মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগি কৃষকরা মামলায় গ্রেফতারের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছে। এতে তাদের কৃষি কাজ সহ স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হচ্ছে।
এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ও প্রকৃত তথ্য তুলে ধরার জন্য চার গ্রামের কৃষকরা বুধবার বাঘাবাড়ি বাজারে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন। ভুক্তভোগি কৃষক গুয়াবাড়ি গ্রামের সন্তোষ চন্দ্র সরকার (৫৩), একই গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৪৮), মেছের আলী (৫৬), সুশীল চন্দ্র মণ্ডল (৫৩), আশরাফ(৬০), ছেফাত আলী (৩৫), ফরিদুল (৩০), ধিরেন্দ্রনাথ সরকার (৮৮), সন্তোষ সাহা (৫২), ভুগিপাড়া গ্রামের ফারুক হোসেন (৫৫), সিন্দুর লং গ্রামের পলাশ চন্দ্র মণ্ডল (৪০) সহ অন্যান্য কৃষকরা জানান, ২০০৭ সাল থেকে তারা উপজেলা বরেন্দ্রে প্রকল্পের মাধ্যমে সিন্দুর লং মৌজায় একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করে চাষাবাদ করে আসছিল।
কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী গুয়াবাড়ি গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে মাহাতাব উদ্দিন জোর করে উক্ত গভীর নলকুপটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। কোন ভাবেই দখল নিতে না পেরে সে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে চার গ্রামের চৌদ্দজন কৃষকের বিরুদ্ধে রাজশাহীর একজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-২ ফৌজদারী দণ্ডবিধির আইনের ১০৭ মতে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে যার মামলা নং ২৩-পি ২০২৩ বাগমারা। এই ঘটনায় স্থানীয় কৃষকদের মাঝে ব্যাপক উত্তোজনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মামলাবাজ মাহাতাব উদ্দিন গ্রামের সহজ সরল ও শারিরীক ভাবে অসুস্থ ও বয়স্ক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও হয়ারানীমূলক মামলা করায় এলাকার অন্যন্য কৃষক ও সাধারণ লোকজন বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
আরবিসি/০১ ফেব্রুয়ারি/ রোজি