স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা, সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ৫ বছর পর রাজশাহীতে আসছেন। এরআগেও তিনি এসেছেন, তবে এবারের সাড়াটা ভিন্ন রকম। কারণ হলো তিনি ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করে ফেলেছেন, তরুণ প্রজন্ম সেটি গ্রহণ করেছে। নারীর ক্ষমতায়ন করেছেন, নারীরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা স্থাপন করেছে। অবকাঠামো উন্নয়নসহ দেশের সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে কথা তিনি বলেছেন, যেটি এবারের নির্বাচনের মূল প্রতিবাদ্য বিষয়, সেই স্মার্ট বাংলাদেশের কথাগুলো শুনবার জন্য মানুষ জনসভায় আসতে চায়, মানুষ কাছে এসে নিজের কানে শুনতে চায়, প্রধানমন্ত্রীকে নিজের চোখে দেখতে চায়, সেই জন্য ব্যাপক সাড়া পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের কথা শুনতে জনসভায় মানুষের ঢল নামবে। জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজশাহী মহানগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান মিলনায়তনে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। প্রধান আলোচক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পদ্মাসেত,ু দিয়েছেন, মেট্রোরেলসহ ব্যাপক উন্নয়ন দিয়েছেন। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ করা হচ্ছে। সারাদেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। সম্প্রতি দ্বিতীয় ধাপে আরো ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বের কোন মুসলিম দেশে একসাথে সরকার কর্তৃক এতো বেশি সংখ্যক মসজিদ নির্মাণের ইতিহাস নেই। তিনি ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে দেশে থাকার জায়গায় দিয়েছেন। তাইতো তিনি মানবতার মা।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, এই বছরটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনের বছর। বছরব্যাপী বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে। অপরদিকে বিএনপি বলছে, ‘এই বছরে তারা আন্দোলন করবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশ নিবে না, তারা শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন হতে দিবে না।’ এই কথা বলার অধিকার বিএনপি-জামায়াতকে কে দিয়েছে?
খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, নেত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, বিএনপি যদি আবারো আগুন সন্ত্রাস করতে আসে, জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চায়, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে চায়, কোরআন শরীফ পোড়াতে চায়, রাস্তার গাছ কেটে ফেলতে চায়, অরাজকতা করতে চায় তাহলে তাদের সেই হাত ভেঙে দিতে হবে, সেই হাত পুড়িয়ে ফেলতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে আমরা প্রস্তুত আছি।
সভার আলোচক রাবি উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সকল লড়াই-সংগ্রামে সঙ্গে ছিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের ইতিহাস ত্যাগের ইতিহাস। ছাত্রলীগের গৌরবময় ইতিহাস সমুন্নত রেখে প্রধানমন্ত্রী লক্ষ্য বাস্তবায়নে অতীতের ন্যায় আগামীতে কাজ করে যাবে।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ দৃশ্যমান হয়েছে, এবার লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণ। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করবে ছাত্রলীগ।
সভায় রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মুবিন সবুজ সহ বিভাগের সকল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
আরবিসি/২৪ জানুয়ারি/ রোজি