বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় সোনিয়া খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মাঝগাঁও হাদিস মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী লিটন হোসেন (৩০) কে আটক করেছে। লিটন মাঝগাঁও হাদিস মোড়ের নুরু মিয়ার ছেলে। নিহত সোনিয়ার আলিম (৪) ও আবির (২) নামে দুটি শিশু সন্তান রয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে ভাংড়ি ব্যবসায়ী লিটন মাদারীপুর জেলার তালতলী এলাকার আব্দুল জব্বারের মেয়ে সোনিয়াকে মোবাইলে প্রেমের সুত্রে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই মাদকসেবী লিটন বিভিন্ন সময়ে সোনিয়াকে মারপিট করতো। শনিবার সকালেও পারিবারিক কলহের জের ধরে লিটন তাকে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে এলোপাথাড়ি মারপিট করে।
এ সময় তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসা সোনিয়ার বড় বোন ও ভাগ্নি তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এসে কাকুতি-মিনতি করলেও লিটন তাকে ছাড়েনি, উল্টো তাদেরকেও মারপিট করে। পরে তারা দুজন সোনিয়াকে বাঁচাতে থানায় যান। এ সময় লিটন আরো মারপিট করলে এক পর্যায়ে সোনিয়া মারা যায়।
নিহতের বড় বোন নার্গিস খাতুন জানান, আমরা থানায় যাওয়ার পথে খবর পাই যে, আমার বোন মারা গেছে। এসে দেখি তার লাশ মাটিতে শোয়ানো। আমার ভগ্নিপতি সোনিয়াকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক বলেন, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোনিয়াকে তার স্বামী পিটিয়ে হত্যা করেছে। তার শরীরে মারপিটের চিহ্ন আছে। পালিয়ে যাবার সময় বনপাড়া এলাকা থেকে লিটনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
আরবিসি/২১ জানুয়ারি/ রোজি