স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হবে বিশাল জনসভা। এই জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে চান রাজশাহী বাসী। এ জন্য চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি সভা। এদিক থেকে সক্রীয় বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগ। তারা সকল ইউনিয়ন ও পৌর সভায় পর্যায়ক্রমে করছেন বর্ধিত সভা।
বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামী লীগ, কাল ইউনিয়ন, পরশু পৌর সভা, এমনি ভাবে পর্যায় ক্রমে চলছে আ’লীগ ও তার সকল সহযোগী সংগঠনের পক্ষে বর্ধিত সভা। সবশেষ বৃহস্পতিবার উপজেলার মনিগ্রাম ও পাকুড়িয়া ইউনিয়ন আ’লীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে পৃথক-পৃথক বর্ধিত সভা।
সকাল ১০ টায় মনিগ্রাম ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও মনিগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পাঁচবছর আগে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে এসেছিলেন। এরআগেও বিভিন্ন সময়ে তিনি রাজশাহীতে এসছেন। তবে এবারের আসাটা আমরা একটু ভিন্নভাবে দেখছি।
সেটি হলো, নেত্রী বাংলাদেশকে একটা দৃশ্যমান উন্নয়নের উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। আমরা মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উচ্চ আয়ের দিকে ধাপিত হচ্ছি। তার সময় কালে রাজশাহী অঞ্চলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এ কারণে আমরা রাজশাহী জেলার মানুষ নেত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চায়। তার জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে চায়। এ জন্য তিনি দলীয় সকল নেতা-কর্মীদের উপস্থিত হওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে আহবান জানান।
তিনি বলেন, এর আগের দিন বুধবার একই উদ্দেশ্য নিয়ে বর্ধিত সভা করেছে বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়ন আ’লীগ ও উপজেলা মহিলা আ’লীগ। এ ধারা অব্যাহত থাকবে আরো তিন-চারদিন। আমরা এমনি ভাবে উপজেলার ৭ টি ইউনিয়ন এবং দুটি দু’টি পৗর এলাকায় বর্ধিতসভা করে জানিয়ে দেবো আমাদের লোকজন কোন পন্থায় কি ভাবে জনসভায় উপস্থিত হবেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, বাঘা উপজেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মন্টু ও অধ্যক্ষ নছিম উদ্দিন, উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সদস্য মাসুদ রানা তিলু, রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রোকনুজ্জামান রিন্টু, বাঘা পৌর সভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু, বাঘা পৌর আ’লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সরকার, সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন, আড়ানী পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রিবন আহাম্মেদ বাপ্পি।
আরবিসি/১৯ জানুয়ারি/ রোজি