স্টাফ রিপোর্টার : গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে শুক্রবার আনন্দ মিছিল বের হয়। আনন্দ মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন শেষে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এসে শেষ হয়।
আনন্দ মিছিল শেষে সেখানে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শান্তি সমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা এঁর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি ডা. তবিবুর রহমান শেখ, যুগ্ম সম্পাদক আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুল মান্নান। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে। আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান, মহানগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, মহানগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিরাজুম মুবিন সবুজ।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, লুণ্ঠিত গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশে অকল্পনীয় উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। যারা দেশের স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করবে। রাজশাহীতে তাদের কোন স্থান হবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে, এর ধারাবাহিকতা আমরা জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করবো।
তিনি আরো বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আগামীতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা পূর্ণাঙ্গরূপে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবেন।
ডাবলু সরকার বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে যে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করছে আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে থেকে তা নশ্চাৎ করে দিবো। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দেশের কোন উন্নয়ন করে নাই, তারা জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি জাতিকে দিয়েছে জঙ্গীবাদ, জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটিয়ে দেশের ৬৩টি জেলায় ৫৬০টি সিরিজ বোমা হামলা করেছিলো, ২১আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা সহ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে দিতে চেয়েছিলো, খাম্বা তারেকের নেতৃত্বে হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে দেশের অর্থ সম্পদ লুটপাট করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছিলো।
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, বিএনপি’র নেতারা বলে শেখ হাসিনা’র পতন নাকি সন্নিকটে, আওয়ামী লীগ নেতারা নাকি পালানোর কোন পথ পাবে না। তারা বলেন, আফগানিস্তানে সরকার দলীয় ব্যক্তিরা যেমন বিমান করে পালাচ্ছে আমরা নাকি তেমন কোন সুযোগ পাবো না, আবার তারা বলেন, শ্রীলংকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসে যেমন পালিয়েছিলো সেই সুযোগও নাকি আমরা পাবো না। আরে বোকা মূর্খের দল, তোমরা যারা এসেছো কোথা থেকে! তোমাদের জন্ম হয়েছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে, পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছো, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের জনগণের মধ্যে থেকে। আমাদের রাজনীতির বয়স ৭৫বছর, আমরা রাজপথ থেকে কখনও পালায়নি কখনও পালাবো না। রাজপথে থেকে তোমাদের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবো। ৪জানুয়ারি তারা রাজশাহী সেমিফাইনাল ও ১০জানুয়ারি ঢাকায় ফাইনাল খেলবে। কিন্তু জনগণ তাদের লাল কার্ড দেখিয়েছে, তারা সফল হতে পারে নি। আমরা শেখ হাসিনা’র লোক, শেখ হাসিনা ১৪ বছর যাবত তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে দেশকে যে উন্নয়ন সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে গেছে, তাঁর কর্মের কারণে দেশের ১৭ কোটি মানুষ শেখ হাসিনা’র জন্য পাগল, জনগণ শেখ হাসিনা’র পানে চেয়ে থাকে।
তিনি আরো বলেন, ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিলো। সেই লুণ্ঠিত গণতন্ত্রকে উদ্ধারের লক্ষ্যে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যে যাত্রা শুরু করেছিলেন তা আজও চলমান। বিএনপি-জামায়াত দ্বারা দেশের গণতন্ত্র বারবার আক্রান্ত হয়েছে, আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে দেশ ও দেশের জনগণকে মুক্তি স্বাদ দিয়েছিলেন। তাই আমরা আজকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালন করছি। নৌকায় ভোট দেওয়ার ফলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদশের জনগণের সামনে বিভিন্ন উন্নয়ন বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন এই বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। আমরা তারই প্রমান পেলাম গতকাল মেট্রোরেল উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে। এরপর চালু হবে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল। এভাবেই সর্বক্ষেত্রেই উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
তিনি বক্তব্যের এক পর্যায়ের বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র কাছে আমাদের চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই, না চাইতেই তিনি অনেক কিছু দিয়েছেন। আমাদের রাজশাহীর জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য করেছেন। তিনি আমাদের মা, মায়ের কাছে সন্তানেরা চাইতেই থাকবে। রাজশাহীতে বেকারত্বের সমাধানের জন্য আগামী ০৪ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর জনসভা থেকে রাজশাহীতে ইপিজেড এর ঘোষণা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা’র কাছ থেকে পেতে চাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আসাদুজ্জামান আজাদ, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, কৃষি সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ইয়াসমিন রেজা ফেন্সি, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, সদস্য জহির উদ্দিন তেতু, নজরুল ইসলাম তোতা, শাহাব উদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন খান, আতিকুর রহমান কালু, হাফিজুর রহমান বাবু, আব্দুস সালাম, ইসমাইল হোসেন, বাদশা শেখ, জয়নাল আবেদীন চাঁদ, মোখলেশুর রহমান কচি, ইউনুস আলী, কে এম জুয়েল জামান, থানা আওয়ামী লীগের বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, মহানগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ আলী মুনমুন, মহানগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমত উল্লাহ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সাকের হোসেন বাবু, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, মহানগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, মহানগর তাঁতী লীগ সভাপতি আনিসুর রহমান আনার, সাধারণ সম্পাদক মোকসেদ-উল-আলম সুমন প্রমুখ।
আরবিসি/৩০ ডিসেম্বর/ রোজি