• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দিতে হবে রাজশাহীতে শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা নদী সুরক্ষা ও দেশজুড়ে নৌ পথ চালুর দাবিতে ইয়্যাসের স্বারকলিপি রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো দৃশ্যমান হবে : ভাইস চ্যান্সেলর ডা. জাওয়াদুল হক কোর্ট হড়গ্রাম কাঁচা বাজারে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত জাতীয় হকি তারকা মিন্টু ও শামীমের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গৃহবধুর মৃত্যু   ঢাকা বোট ক্লাবের নব-নির্বাচিত সদস্য খন্দকার হাসান কবিরকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ক্লাবের শুভেচ্ছা তানোরে স্থানীয়দের তৎপরতায় জলাশয় ভরাটের মাটি ফেলা বন্ধ রাজশাহীতে কসমিকা ডিসট্রিবিউশন অফিসে দূর্ধর্ষ ডাকাতি

ভুয়া সার্টিফিকেট প্রস্তুতকারী চক্রের মূলহোতা গ্রেফতার

Reporter Name / ৯৩ Time View
Update : সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২

আরবিসি ডেস্ক : ভুয়া সার্টিফিকেট প্রস্তুতকারী চক্রের মূলহোতা নাকিব ওসমানকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টার। সোমবার রাজধানীর মিরপুরের দারুসসালাম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. আজাদ রহমান জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ চক্রের মুলহোতাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আসামি নাকিব ওসমান ও তার সহযোগীদের নামে গুলশান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, একটি চক্র ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে সহজে আইইএলটিএসের স্কোর আট এর ওপরে লাভ এরূপ লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেয়। বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা তাদের হোয়াটস অ্যাপ ও মেসেঞ্জারের সিক্রেট গ্রুপের ইনবক্সে যোগাযোগ করলে তখন চক্রটি আগ্রহী প্রার্থীদের টার্গেট করে বিনা পরীক্ষায় আইইএলটিএসে আট এর অধিক স্কোর পাওয়ার নিশ্চয়তা দেয়। এভাবে প্রতারিত করে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।

আজাদ রহমান জানান, যেহেতু বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও চাকরি/ব্যবসা ইত্যাদির উদ্দেশে যেতে চাইলে শর্তে আইইএলটিএসের স্কোর সাত এর অধিক প্রয়োজন পড়ে, তাই আগ্রহীরা সহজেই এ সংঘবদ্ধ চক্রের পাতা ফাঁদে পা দেয়। শুধুমাত্র আইইএলটিএসের স্কোর বাড়ানোই নয়, পাশাপাশি বেশ কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া সার্টিফিকেট তৈরি করতো। এক্ষেত্রে তার সঙ্গে কয়েকজন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী জড়িত। শিক্ষার্থীরা বাইরের দেশে যেসব বিষয়ে পড়তে আগ্রহী, ওইসব বিষয়ের ভুয়া সার্টিফিকেট দেশের বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অসাধু শিক্ষকের সহায়তায় তৈরি করে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে।

তিনি জানান, এসব সার্টিফিকেট দিয়ে বিদেশে পড়াশুনার আবেদন করলে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সার্টিফিকেট যাচাইয়ের জন্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর ই-মেইল করে। দেশের সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যারা চক্রটির সহযোগী তারা সার্টিফিকেটটি বৈধ হিসেবে ই-মেইলের জবাব পাঠিয়ে থাকে। এছাড়া বিশ্বের অনেক নামি-দামি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেওয়ার কথা বলেও চক্রটি প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেয়। এভাবে বহুদিন ধরে এরা প্রতারণা করে টাকা কামিয়ে আসছে।

আরবিসি/২৬ ডিসেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category