স্টাফ রিপোর্টার : পৌষের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসেও হাড় কাপানো শীত অনূভূত না হলেও হঠাৎ কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে গেছে পদ্মাপাড়ের রাজশাহী নগর ও জেলার সর্বত্র। বলতে গেলে পুরো উত্তরাঞ্চল ঢেকেছে কুয়াশার চাদরে। তাই সোমবার ভোরে সূর্যোদয় হলেও আড়মোড়া ভেঙে কুয়াশা ভেদ করে আলো ছড়াতে পারেনি সূর্য। সকাল থেকে সারা বেলায় কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে এ অঞ্চলের পথ-ঘাট-প্রান্তর।
সকাল থেকে ঘন কুয়াশার আস্তরণ যেন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছিল এ অঞ্চলে। শীতের প্রকোপ না থাকলেও উত্তরের হিমেল হাওয়া কাঁটা দিচ্ছে শরীরে। আবহাওয়া অফিস বলছে ঘন কুয়াশা কেটে গেলে বৃষ্টি ঝরবে। জেকে বসাবে শীত।
এদিকে সর্বশেষ সোমবার ঘন কুয়াশার চাদরে প্রকৃতি ঢাকা পড়লেও জীবিকার তাগিদে কাক ডাকা বের হয়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। তবে ঘন কুয়াশায় সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই মহাসড়কের দূরপাল্লার যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। বেলা ১২ টা পর্যন্ত মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে যানবাহন।
ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে গতি কমেছে ট্রেনেরও। ফলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের আন্তঃনগরসহ বিভিন্ন রুটের ট্রেনের সিডিউল ভাঙতে শুরু করেছে এরই মধ্যে। বিলম্বে চলার কারণে সময় অপচয় হচ্ছে রেলপথ যাত্রীদের। ক’দিন থেকে রাজশাহী-ঢাকা, ঢাকা-রাজশাহী, খুলনা-রাজশাহীসহ বিভিন্ন রুটের আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর নির্ধারিত সময় ঠিক রাখা যাচ্ছে না। বিশেষ করে কুয়াশাচ্ছন্ন বৈরি আবহাওয়ায় রাজশাহী-ঢাকা ও ঢাকা-রাজশাহী রুটের আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর সিডিউল নড়বড়ে হয়ে পড়েছে।
উত্তরের সড়ক পথেও একই অবস্থা। দুর্ঘটনা এড়াতে ভোরে সড়ক-মহাসড়কগুলোতে ছোট-বড় যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে হচ্ছে ধীরগতিতে। ফগলাইট ব্যবহার করেও চালকরা বাসের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন। কুয়াশার কারণে অনেক সড়কের বাঁক চোখে পড়ছে না চালকদের।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, সোমবার সকাল ৭টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন রবিবার ছিল ১৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর শনিবার ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পরিসংখ্যান বলছে, রাজশাহীর গড় তাপমাত্রা একদিন কমছে আরেক দিন বাড়ছে। মূলত প্রকৃতি থেকে এই কুয়াশার আস্তরণ কেটে গেলেই শীত বাড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। এর ওপর জানুয়ারির শুরুতে স্বাভাবিক বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ওই সময় রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আবারও এক অঙ্কে নেমে আসার আশঙ্কা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন এ আবহাওয়া কর্মকর্তা।
আরবিসি/২৬ ডিসেম্বর/ রোজি