খেলা দ্বিতীয়ার্ধে গড়ালেও কে জানতো এখানেও অপেক্ষা করছিল আরও নাটকীয়তার। অতিরিক্ত মিনিটের শেষ হাফে গোল পান মেসি। আর্জেন্টিনা এগিয়ে যায় ৩-২ গোলে।
ম্যাচের তখন ১১৮ মিনিট। এমবাপ্পের শট আটকাতে গিয়ে বক্সের মধ্যেই বল হাতে লাগালেন মন্তিয়েল। পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। ৩-৩ গোলে সমতা। হ্যাট্রিক এমবাপ্পের। বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রথম। অতিরিক্ত সময় শেষেও স্কোরলাইন ৩-৩।
খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। ফ্রান্সের প্রথম শট নিলেন কিলিয়ান এমবাপে। বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নিলেন তিনি।
আর্জেন্টিনার প্রথম শট নিলেন লিওনেল মেসি। ঠিক দিকেই ঝাঁপ দিয়েছিলেন উগো লরিস কিন্তু ঠেকাতে পারেননি।
ফ্রান্সের দ্বিতীয় শট নিলেন কিংসলে কোমান। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দিলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস!
আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় শট নিলেন পাওলো দিবালা। ডাইভ না দিলেই বল পেয়ে যেতেন লরিস। তিনি যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেদিক দিয়ে জাল খুঁজে নিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড দিবালা।
ফ্রান্সের তৃতীয় শট নিলেন অহেলিয়া চুয়ামেনি চুয়ামেনি। তিনি মারলেন বাইরে।
আর্জেন্টিনার তৃতীয় শট নিলেন লেয়ান্দ্রো পারেদেস। তিনি খুঁজে নিলেন জাল। ৩-১ গোলে এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনা।
ফ্রান্সের চতুর্থ শটে গোল করলেন রন্দাল কোলো মুয়ানি। টিকে থাকল ফরাসিদের আশা।
ঠাণ্ডা মাথার শটে জাল খুঁজে নিলেন গনসালো মনতিয়েল। বিশ্ব জয়ের আনন্দে মেতে উঠল আর্জেন্টিনা।
৩-৩ গোলে মূল ম্যাচ সমতায় শেষ হওয়ার পর টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতল আর্জেন্টিনা! অবসান হলো ৩৬ বছরের অপেক্ষার।
আরবিসি/১৯ ডিসেম্বর / রোজি