• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩২ অপরাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
রাজশাহীতে পদ্মা ও বড়ালসহ দেশের সব নদ-নদী সুরক্ষার দাবি আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দিতে হবে রাজশাহীতে শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা নদী সুরক্ষা ও দেশজুড়ে নৌ পথ চালুর দাবিতে ইয়্যাসের স্বারকলিপি রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো দৃশ্যমান হবে : ভাইস চ্যান্সেলর ডা. জাওয়াদুল হক কোর্ট হড়গ্রাম কাঁচা বাজারে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত জাতীয় হকি তারকা মিন্টু ও শামীমের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গৃহবধুর মৃত্যু   ঢাকা বোট ক্লাবের নব-নির্বাচিত সদস্য খন্দকার হাসান কবিরকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ক্লাবের শুভেচ্ছা তানোরে স্থানীয়দের তৎপরতায় জলাশয় ভরাটের মাটি ফেলা বন্ধ

ইন্দোনেশিয়া কাপলো ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পে

Reporter Name / ৮৭ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২২

আরবিসি ডেস্ক : দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দেশটির বালি ও জাভা দ্বীপপুঞ্জে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে এবং রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬.২।

ইন্দোনেশিয়ার ভূ-পদার্থবিদ্যা সংস্থার বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

 

সংস্থাটি জানিয়েছে, শক্তিশালী এই ভূমিকম্পটি পূর্ব জাভা প্রদেশের দক্ষিণ উপকূলে এবং বালির ডেনপাসারের ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ভূখণ্ডের ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল) গভীরতায় আঘাত হানে। তবে এই ভূমিকম্পের পর সুনামির কোনও আশঙ্কা করা হয়নি।

ভূমিকম্পের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া পোস্টে বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পূর্ব জাভা প্রদেশ এবং বালিতে তীব্রভাবে কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

ভূমিকম্পের ফলে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা তা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এশিয়ার বৃহত্তম দ্বীপদেশ ইন্দোনেশিয়ার জন্যসংখ্যা সাড়ে ২৭ কোটির বেশি। ভূতাত্ত্বিক অবস্থার কারণে নিয়মিতই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটে থাকে।

এর আগে গত ২১ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে প্রাথমিকভাবে ৫৬ জনের প্রাণহানির তথ্য জানানো হয়। পরে এই ভূমিকম্পে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩১০ জনে। আহত হয়েছিলেন আরও বহু মানুষ।

এর আগে ২০০৯ সালে পাদাংয়ে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেই সময় প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে এক হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে এবং আহত হন আরও অনেকে। এছাড়া ভূমিকম্পে বাড়িঘর ও বিভিন্ন স্থাপনাও ধ্বংস হয়ে যায়।

প্রশান্ত মহাসাগরের তথাকথিত ‘রিং অব ফায়ারে’ ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান হওয়ায় দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তা দেখা যায়। এখানে টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষ ঘটে। শুধু ইন্দোনেশিয়া নয়, জাপানসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সব দেশই এ কারণে ভূমিকম্পের অত্যধিক ঝুঁকিতে আছে।

২০০৪ সালে সুমাত্রার উপকূলে ৯ দশমিক ১ মাত্রার মাত্রার ভয়াবহ একটি ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের পরপর আঘাত হানে সুনামি। তখন ওই অঞ্চলে ভূমিকম্প ও সুনামির কারণে ইন্দোনেশিয়ায় ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল।

আরবিসি/০৬ ডিসেম্বর/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category